পার্ট-৪
-খবরদার ধরবেন না আমাকে।
আমি পালানোর বৃথা চেষ্টা করলাম।আমাকে ধরে ফেলল।
-কই যাবে আমাকে ফেলে?
আবার আমাকে কিস করতে চাচ্ছে সে।আমি কি করবো বুঝতে না পেরে হাতে একটা কামড় দিয়ে দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে লক করতে যাবো হঠাৎ পিচ্ছলে পড়ে গেলাম।আর কিছুই মনে নেই।হুশ ফেরার পর আমি বিছানায় আর তূর্য পাশে বসা।কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে।আমার দিকে তাকানোর সাথে সাথে আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম যেন না বুঝে আমার জ্ঞান ফিরেছে।কিন্তু কপাল খারাপ তূর্য আগেই আড় চোখে দেখে ফেলেছে আমাকে।কিন্তু ভান করলো যেন কিছুই বুঝে নি।ফোনে কথা শেষ করে আমার পাশ ঘষে শুয়ে পরলো।আমি একটু সরলাম।সে ও চাপলো।আমি সরছি আর সেও চাপছে।এমন করতে করতে আমি বিছানা থেকে ধুপ করে পড়ে গেলাম।
-আ...আ
-কে বলেছিলো নাটক করতে?একে তো পা মচকালে তারপর আবার কোমর।এ বয়সে কুজো বুড়ি।হাহাহাহা...
-চুপ পাজি লোক।আপনার জন্যই পরে গিয়েছি আমি।আবার..
আমার কথা শেষ করার আগেই আমাকে কোলে তুলে বিছানায় শুয়াল।
-চুপচাপ শুয়ে থাক।আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি।
-না লাগবে না।আপনি আবার আমাকে কোলে নিলেন কোন সাহসে?
-উফ..এত কথা বলো না তো।আমি যা...
-আপনি চুপ।আপনি খারাপ লোক। পাজি.....
সে হাসতে হাসতে রুম থেকে বের হচ্ছে আর আমি ঠোঁট চেপে ধরে শকড হয়ে রইলাম।
-খাও বলছি।
-.......
-খাবে না?
-.......
-ওকে আবার কিসি দিচ্ছি।
-না....খাচ্ছি।
খাওয়া শেষ করে ঔষধ খেলাম।
-এখন ঘুমাও।
বিকেলে ঘুম থেকে উঠলাম।পায়ের ব্যথা কমেছে কিছুটা।মা এলেন রুমে।বলল যে আমার অসুস্থতার জন্য কাল বৌভাত হবে না।আমি সুস্থ হলে হবে অনুষ্ঠান।মন খারাপ হলো আমার।মা চলে গেলেন।
রাতে তূর্য বিছানায় শুতে এলো।আমি নেমে যাচ্ছি দেখে আবার চেপে ধরলো আমাকে
-নামছো কেন?কাল আমাদের বাসর হয়নি।আজ করবো।
-ছি আপনি এত খারাপ!
-খারাপের কি হলো?বউয়ের সাথে বাসর করবো না তো কার সাথে করবো?
-প্লিজ....
-না কোন কথা নেই।
আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
-আচ্ছা থাক আজ বাসর করবো না।তুমি সুস্থ হলে করবো।এখন শুয়ে পরো তো।
আমি বাচলাম।পাশ ফিরিয়ে শুয়ে পরলাম।আমাকে জাপটে ধরে শুয়ে পড়লো তূর্য।
-ছাড়ুন বল.....
-শশশসসসস......ঘুমাও।না হলে লিপ লক হবে।
রাগে দুঃখে চোখ বন্ধ করে পরে রইলাম।মনে মনে বললাম বাবার বাড়ি যাবার পর আর আসবো না।
দুই দিন পর,বৌভাতের দিন
আমি আর তূর্য আমার বাবার বাড়ি গেলাম।সবাই কথা বলতে বলতে অনেক রাত হয়ে গেল।সবাই ঘুমানোর জন্য যে যার ঘরে চলে গেল।আমার ভয় লাগছে রুমে যেতে।গেলেই আবার শুরু হবে।বাহিরের বারান্দায় বসে আছি একা।আর ভাবছি কি হলো আমার জীবনের।মা এসে বসলো পাশে।
-কি হয়েছে বল তো?
-মা কেন করলে এমন আমার সাথে?মেয়ে বলে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিলে?
মা আমাকে অনেক বুঝালো।কান্না করতে মানা করলো।ঘরে যেতে বলে চলে গেল।রুমে গিয়ে দেখি তূর্য ঘুমাচ্ছে।আমি শুয়ে পড়লাম।
সকাল বেলা চোখ খুলে দেখি তূর্য আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
-তাকিয়ে আছেন কেন?ছাড়ুন আমি উঠবো।
-না। ছাড়বো না।
-পাজি লোক ছাড়েন আমাকে নাহলে কামড় দিব।
-দাও।
ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে উঠে পড়লাম।
নাস্তা টেবিলে বাবাকে তূর্য বলল আজ চলে যাবে কাজ আছে নাকি তার।আমাকেও নিয়ে যাবে।আমি মানা করলাম।কিন্তু বাবার ভয়ে রাজী হলাম।
(চলবে)