শেষ পর্ব
আমি কিছুটা সুস্থ হলাম।তূর্য আমার পাশেই থাকছে সব সময়।ডাক্তার রিলিজ দিল আমাকে।বাসায় নিয়ে এলো তূর্য আমাকে।আমরা কেউ কারো সাথে কোন কথা বলছি না।পর দিন আমি ব্যাগ গুচ্ছিয়ে বের হয়ে যাচ্ছি।
-কোথাও যেত দিব না তোমাকে।
-আমাদের মাঝে আর কোন কথা নেই।
-মিশি প্লিজ।
আমি বের হয়ে যাচ্ছি তূর্য হাত ধরলো।
-মিশি ভুল বুঝো না আমাকে।
-আর কোন কথা নেই আমার।আমাকে পুতুল পেয়েছেন?যেমন খুশি খেলছেন?
-মিশি আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালবাসি।
-ভালবাসলে এত নাটক করতেন না।
-ভালবা.....
ঘুরে তূর্যকে একটা থাপ্পড় দিলাম।
-কেন?কেন করলেন?
-কেঁদো না।
তূর্য আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
-আর করবো না এমন।প্লিজ এখন নিজেকে সামলাও।
আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম আমার ভালবাসা ওপর সন্দেহ ছিল আপনার।
ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললাম
-এখন বলুন কেন করলেন?
-মিশি যে দিন তোমাকে দেখেছিলাম আমার অনেক ভাল লেগেছিল।বিশেষ করে তোমার ঠোঁটের নিচের তিল আর গালের টোলটা।সেদিনই তোমার অজান্তে তোমার ছবি তুলে বাবাকে দেখাই আর বলি যে তোমাকেই বিয়ে করবো।তারপর ইটালি আসি MBA করলাম।জব জয়েন করলাম এর মাঝে তোমার খোজ খবর নিতাম। তুমি বুঝো নি তা।দেশে যাবার আগে বাবাকে তোমার বাবার কাছে পাঠালাম বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে।সবাই রাজী হলো।কিন্তু তোমাকে কিছু বলা হলো না বিয়ের বিষয়ে।আমি দেশে আসার পর বিয়ে করলাম।
-তাহলে শাফি?
-আমার ফেইক ID তোমার জন্য খুলেছিলাম।
-তাহলে ছবি?
-আমার ফ্রেন্ডের।
-শয়তান কোন কষ্ট দিলেন আমাকে?
-ভালবাসি তাই।
-চলে যাই তাহলে আপনার ফ্রেন্ডের কাছে।
-কি সাহস।দেখি যাও কিভাবে?তুমি কিভাবে জানলে?
-আপু আমাকে একটা চিঠিতে সব লিখে দিয়েছিল।সব জেনে অনেক কষ্ট পেলাম।আপনার পছন্দ মতো সেজে আপনার সাথে বাহিরে গেলাম ভেবেছিলাম আমাকে দেখে সব বলবেন।না আপনি বলেন নি।কোন মূল্যই নেই আমার আপনার কাছে।শুধু নাটক করলেন।তাই মরে যেতে চাইলাম।
-আর কোন দিন এমন করবো না প্রমিস।তুমিও আর আমাকে ছেড়ে যাবার কথা ভাববে না।
-হুম।
The End.