খেজুরের রস বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। তার মধ্যে অন্যতম হলো শীতকাল। এই শীতকালে আমাদের দেশে অনেক জায়গাই খেজুর গাছ থেকে আমরা রস পেয়ে থাকি।এি রসের মাধ্যমে আমরা নানা ধরনের পিঠি গুড় খেয়ে থাকি এমনিতে আমরা শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি পেয়ে থাকি।আমাদের গ্রামের মানুষগণ প্রথমে এই গাছ থেকে তার কানদি গুলো ফেলে দিয়ে থাকে তারপর আস্তে আস্তে সেই গাছ থেকে আমরা রস বাহির করি। এই রসগুলো জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করে আমরা বাজারে বিক্রয় করে অনেক টাকা আয় করে থাকি। এই শীতকালে টাকা আয় করার প্রথম মাধ্যম হলো এই খেজুরের রস। খেজুরের গুড় বিক্রয় করে অনেক মানুষগণ তাদের সংসার পরিচালনা করে শীতকালে তাদের সংসারের যাবতীয় খরচ পরিচালনা করতে কোন সমস্যা হয় না।আমাদের দেশের যশোর অঞ্চলে বেশী পরিমাণে এই খেজুরের গুড় পাওয়া যায়।খেজুরের গুড়ের জন্য যশোর এলাকাকে গুড়ের উৎপাদন কেন্দ্র বলা হয়।এই খেজুরের রসের মাধ্যমে আমরা শীতের সময় বিশেষ ভাবে রসের পিঠা রসের ক্ষির আমাদের মাঝে অধিক জনপ্রিয়। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটা মানুষের কাছে এই রসের পিঠা রসের ক্ষির জনপ্রিয় হয়ে আছে। আমাদের দেশের কৃষকরা নানা ভাবে এই রসের মাধ্যমে অনেক অনেক টাকা উপাজন করে তাদের সংসারের সব খরচ গুলো চালিয়ে থাকে। এই গুড়ের মাধ্যমে আমরা বিদেশে রপ্তানি করে আমাদের দেশের অনেক উন্নত করতে সাহায্য করে। এই খেজুরের রস উৎপাদন করতে অনেক কষ্ট করা লাগে শীতের সকালে চারিদিকে কুয়াশায় অন্ধকার এই অবস্হায় রস সংগ্রহ করতে আমাদের মাঠে যেতে হয়। গ্রামের প্রতিটা মানুষগণ এই খেজুরের গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে থাকে এতে করে আমাদের মাঝে এক ধরনের আনন্দ বিরাজ করে। এই সংগ্রহ করে রাখলে সারা বছর রেখে দিলেও তা নষ্ট হয় না এই জন্য আমাদের গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে বছরের শেষেও দেখা যায় অধিক পরিমাণে গুড় আছে যা দিয়ে নানা ধরনের পিঠা পুলি তৈরি করে আমরা খেয়ে থাকি। এতে করে আমাদের দেশের মানুষের বিরাট ভূমিকা পরলক্ষিত হয়ে থাকে। গ্রামের কৃষকরা অনেক কষ্ট করে নিজে খেয়ে না খেয়ে এই গুড় সংগ্রহ করে তাদের জীবন নিবাহ করে। অনেক সময় দেখা আকাশের পানি হলে রস গুলো নষ্ট হয়ে যায় তখন চাষীদের মাঝে নানা ধরনের হতাশার মধ্যে পতিত হয়।এই গুড় বিক্রয় করে শীতকালে গ্রামের কৃষকরা অনেক উপাজন করে তাদের যাবতীয় জীবনের খরচ গুলো পরিচালনা করে থাকে। এই গুড়ের মাধ্যমে আমরা গুড়ের পাটালি তৈরি বাজারে বিক্রয় করে আমাদের দেশের মানুষরা নানা ভাবে উপকারিতা হয়।গ্রামের মানুষের শীতকালের অন্যতম কাজ হলো খেজুরের রস সংগ্রহ করা এই রসের মাধ্যমে আমরা অধিক ভাবে উপকারী হয়ে থাকে।