عن أبي الدَّرْدَاء رضي الله عنه . أَنَّ رَسُولَ الله صلي الله عليه وسلم قَاء فَتوضأ ، فَلَقِيت ثوبان في مسجد دمشق فذكرت ذلك له فَقَال: صَدَق ، أنا صَبَبْتُ له وَضوءه . رواه الترمذي ، وقال قد راي غَيْرُواحد من أهلِ العِلمِ من أصحَابِ النّبي صلي الله عليه وسلم وَغيْرهم من التابعين الوضوء من القيء وَالرعاف . ط
- আবু দারদা রা . থেকে বর্ণিত যে , রাসূল সা , বমি করার পর উযু করেছেন । ( আবু দারদা থেকে বর্ণনাকারী বলেন ) অত : পর আমি দিমাসকের মসজিদে সাওবান রা . এর সাথে সাক্ষাত করলাম এবং এ বিষয়ে তার সামনে আলোচনা করলাম । তখন তিনি বললেন , আবুদারদা রা , সত্য বলেছেন । আমি নবী সা . কে উযুর পানি ঢেলে দিয়েছিলাম । তিরমিযী । ( তাহারাত - ৮৭ ) । ইমাম তিরমিযী বলেছেন , সাহাবী ও তাবেয়ীনের একাধিক আলেম এর মতে বমি করলে এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হলে উযু করতে হয় ।
............................................................................
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مَرَفَوعَا : « مَن أَصَابَه قيء أَوَ رعاف أو قَلس أو مَذيّ فَلْيَنصَرِف فَلْيَتَوضاً ، ثُمَّ لْيَبْنِ عَلى صَلاتِه ! وَهُوَفي ذلك لا يتكلم » أخرجه ابن ماجه .ط
- আয়েশা রা . থেকে মারফু সূত্রে বর্ণিত যে , ( রাসূল সা . বলেছেন ) যার বমি হয়েছে , অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরেছে , অথবা পেট থেকে মুখে পানি এসেছে অথবা মযী বেরিয়েছে , সে যেনাে ফিরে যায় এবং উযু করে । অতঃপর তার নামাজের উপর বিনা করে ( তথা , পূর্বে যেখান থেকে নামাজ ভঙ্গ হয়েছে , সেখান থেকে পূর্ণ করে ) , সে ( যদি ) ইতিমধ্যে কথা না বলে থাকে । ইবনে মাজাহ ( সালাত - ১২২১ ) ।
এ হাদীসের সনদে ইসমাঈল ইবনে আইয়াশ রয়েছেন , যিনি বিতর্কীত । ( তবে ) ইবনে মাঈন তাকে নির্ভরযােগ্য সাব্যস্ত করেছেন । আততীবুশ শাযী গ্রন্থে অনুরূপ রয়েছে । এ হাদীসটি যদিও মুরসাল , কিন্তু আমাদের মতে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামায়ে কেরামের মতে এটি দলিল হতে পারে । বিশেষ করে মা'দানের হাদীস এটাকে শক্তিশালী করে । ইমাম শাফেয়ী রহ , থেকে বর্ণিত যে , এই হাদীসটি বিশুদ্ধ মেনে নিলেও উযু দ্বারা হাত ধৌত করা উদ্দেশ্য , নামাজের উযু নয় । এর উত্তর হলাে , এটি কোনাে লক্ষণ ছাড়া বাহ্যিক অর্থ পরিত্যাগ করার নামান্তর ।
...........................................................................