ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) ছিলেন ফিকাহ (ইসলামি মাসলা ও মাসায়েল) শাস্রের উদ্ভাবক। চার ইমামের মধ্যে তিনিই একমাত্র তাবেঈন যিনি একাধিক সাহাবীদের দেখেছেন। তিনিই প্রথম ইসলামী আইনশাস্র কিতাবাকেরে লিপিবদ্ধ করান। যদি আল্লাহতায়ালা তার মতো মানুষকে না বাহির করতেন ইসলাম যেমন খুশি তেমন একটা ধর্ম হয়ে যেত। আজকে ১৪৫০ বৎসর পরেও ইসলামের মাসায়েলের কোনো পরিবর্তন হয় না উনি ছিলেন সেই কাজের পথিকৃৎ। তিনি প্রায় তেরো লক্ষ মাসায়েল লিপিবদ্ধ করান।
ঈমাম আবু হানিফ (রহঃ) প্রায় ১৩০০ বৎসর আগে দুনিয়া থেকে চলে গিয়েছেন সেই সময়ের একটা ঘটনা বর্ণনা করা হলো। আল্লাহ তাকে প্রখর এলম দিয়েছিলেন হাদিস কোরানের উপর, তারপরেও তাকে আরেকটা জ্ঞান দিয়েছিলেন তাহলো তার উপচিতিৎ বুদ্ধি। তিনি ছিলেন হাদিস কোরানের সমুদ্রের ডুবুরি যেখানে সবাই ব্যর্থ সেখানে তিনি মাসলা বের করে আনতেন।
Hazrat Abdullah Ibne Abbbas (Ra) mosque in Taif
আজকে সারা দুনিয়ার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ তার মাযহাবের অনুসারী। আর বাকীরা তিন মাযহাবের অনুসারী।
উকদুল জুমান কিতাবে বর্ণিত আছে এক ব্যাক্তি ঈমাম আজম আবু হানিফা( রহঃ) এর মজলিশে এসে জিজ্ঞেস করল এক লোক তিনটি কসমের মাধ্যমে তার স্ত্রীকে তিন ধরণের বাক্য বলে তালাক দিল। এখন তাকে তালাক থেকে বাঁচানোর মতো বাহ্যিক ভাবে কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। কেউ কোনো সমাধান দিতে না পারায় সে ঈমাম আবু হানিফার কাছে আসলো। লোকটি তার স্ত্রীকে বলেছিল।
( ১) যদি আজকের কোনো সময় নামাজ না পড়ি তাহলে আমার বিবি তিন তালাক। (২) আজ বিবির সাথে যদি সহবাস না করি তাহলে সে তিন তালাক।( ৩) যদি আজ ফরজ গোসল না করি তাহলেও সে তিন তালাক।
বড়ই জটিল মাসালা। ঐ জামানায় বেনামাজী ছিলোনা বললেই চলে সে যেইভাবে কসম দিয়েছে তাতে নামাজ নষ্ট হয় যায়। মজলিশে কেউ সমাধান দিতে পারছে না। অবশেষে আবু হানিফ (রহঃ) বললেন সমাধান হলো সে আজ আছরের নামাজ পড়বে এরপর বিবির সাথে সহবাস করবে।এরপর যখন সূর্য অস্ত যাবে তখন ফরজ গোসল করবে। তাহলে তার কসমও ভাঙবে না তালাকও পতিত হবে না।