আসসালামু আলাইকুম।
সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।সবার আগে আমি হাইভ বাংলাদেশ কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।আমাদের সবার জীবনে একটা পথ চলার ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য থাকে।যা আমাদের জীবনকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।আমরা আমাদের জীবনকে পরিচালনা করতে এমন কিছু কর্মকে বেছে নেয় যা আমাদের জীবনকে করে তোলে সুন্দরতম।হাইভ আমার ব্যক্তি জীবনে কিভাবে প্রভাব ফেলেছে তা আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে।চলুন শুরু করি।
ছোট বেলায় একটা কথা শুনতাম যে "সোনার চামচ মুখে দিয়ে সবাই জন্মগ্রহণ করে না" পরে অবশ্যই বইয়ের পাতায় এর প্রমাণও পেয়েছি।আমিও তার মধ্যে একজন।পিতা-মাতার গরিব কুঠিরিতে জন্ম হয় আমার। তাদের ভালোবাসায় আর আদরে বেড়ে উঠি আমি। হয়ত ধনীদের মতো রাজ প্রাসাদে বড় না হয়ে ধুলার মধ্যে থেকে বড় হয়েছি। কিন্তু তবুও আমার কাছে ছিল পিতা মাতার ভালোবাসা।ছোট বেলা থেকে আমার মনের মাঝে একটা কথায় ঘুরতো যে "আমি যদি নিজে কিছু করতে পারতাম"।তাহলে হয়ত আমার বাবাকে একটু সাহায্য করতে পারতাম।আমার বাবা একজন ভ্যান চালক। তার পক্ষে আমার লেখাপড়া সহ আমাদের সাংসারিক খরচ চালানো হয়ে ওঠে না।
তাই আমি ছোট বেলা থেকেই চেষ্টা করতাম নিজে কিছু করার।আমি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তাম। তখন থেকে আমি ছোট বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ানো শুরু করি।যাতে আমি আমার নিজের লেখাপড়ার খরচটা নিজেই জোগার করতে পারি।এরপর আমি এভাবে প্রাইভেট পড়ানোর টাকা দিয়ে এবং আমার বাবা যেটা দিত সেটা দিয়ে আমি দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা চালাই।কিন্তু আমি যখন কলেজে ভর্তি হয় তখন আমার বাসা থেকে যাতায়াত করা যেত না।তখন আমার একমাত্র উপায় হলো ম্যাচে থেকে লেখাপড়াটা চালানো।আর আমি ওখানে নতুন হওয়ায় আমার কোনো ছাত্র পড়ানোও শুরু হয় নাই।
এই চিন্তিত সময়ে আমি চেষ্টটা করলাম অনলাইন এ কোনো কাজ করার। যেটা দিয়ে আমি আমার লেখা পড়াটা চালাতে পারি।তখন আমি বিভিন্ন উপায়ে এই ব্লকচেইন এর সাথে যুক্ত হয়।যাতে এখান থেকে আমি কিছু করে আমার লেখাপড়াটা চালিয়ে যেতে পারি।মূলত আমি প্রথমে স্টিমাইট এ কাজ করতাম।তারপর
আমি হাইভ ব্লক চেইন এ যুক্ত হয়।তারপর আমি এখানে কাজ করা শুরু করি।আমি এখন আমার লেখাপড়ার খরচটা নিজেই চালাতে পারি।আর যখন খুব বেশি সমস্যা হয় তখন বাসা থেকে কিছু টাকা নিয়।
এতো দিনে হয়ত আমার পরিবার থেকে আমার লেখাপড়া বন্ধু হয়ে যেত টাকার অভাবে।কিন্তু আমি সব সময় চেষ্টটা করি যাতে আমি নিজে কিছু করে আমার পড়াশুনাটা চালিয়ে যেতে পারি।তাই আমি এই ব্লক চেইন এ কাজ করা শুরু করি।আমি আশা করছি আমার সামনের জীবনটা এর সাথে খুব ভালো ভাবেই কাটাতে পারব।যাতে আমার জীবনের কিছু টা হলেও উন্নত করতে পারি।আল্লাহ তায়ালার কাছে আমি সব সময় শুকরিয়া করি যে তিনি আমাকে এতো বড় একটা সুযোগ খুজে দিয়েছেন।যার থেকে আমি আমার জীবনটাকে সামনের দিনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি।আসলে আমাদের মতো নিম্নবৃত্ত মানুষদের জীবনটা পরিচালনা করা খুব কষ্টের কাজ।
আমি এই প্লাটর্ফমে যোগদান করার পর থেকে আমার দিন শুরু হয় এখানকার নোটিফিকেশন গুলো দেখে এবং ঘুমাতেও যায় এখানকার কাজ করে।দিনের অবসর সময়গুলো আমি হাইভ এর সাথে কাটাতে খুব ভালোবাসি।আমি আমার পড়াশুনার সময় বাদে সকল সময়টা এখানে কাটায়।আমি আমার সময়টাকে কাজে লাগাতে পারছি।সময়টা অপচয় হচ্ছে না।আমি মনে করি হাইভ আমার জীবনের একটা নতুন পথ দেখিয়েছে।আমি এখন হাইভ এর রঙে রঙিন হতে চায় যাতে আমি আমার জীবনটাকে সুন্দর করতে পারি।
আমার ব্যক্তি জীবনে হাইভ কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে এবং আমি মনে করি সামনের দিনগুলো এই প্রভাবটা আরও বেশি হবে।আমি হাইভ ব্লক চেইনকে আমার বন্ধু মনে করি।আশা করি আমি কিছুটা হলেও আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি যে হাইভ আমার জীবনে কত বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে।
আশা করি সবার কাছে ভালো লেগেছে।সবাই ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোষ্টটা পড়ার জন্য।