বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হলো
বর্জ্য সমস্যা। তাই আমার আজকের লেখাটি হবে বর্জ্য সমস্যা ও এর ব্যবস্থাপনার সমাধান এর উপর।প্রতিদিন আমরা নষ্ট করা খাবার,উচ্ছিষ্ট প্লাস্টিক, ছেড়া দ্রব্যাদি সহ কত করমেরই বর্জ্য উৎপন্ন করে বাসার একটি নিদিষ্ট জায়গায় রাখি।পরবর্তীতে ময়লাওয়ালা আসলে আমরা ওগুলো দিয়ে দেই।কিন্তু এরপর ওগুলো কই যায় তা নিয়ে আমরা তেমন একটা ভাবি না।ময়লাগুলো সাধারণত নদ-নদীতে ফেলা হয়।এভাবে দিনের পর দিন বর্জ্য ফেলার ফলে দেশের কতগুলো নদী যে প্রাণ হারিয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।বগুড়ার করতোয়া নদী, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী সহ দেশের কত জেলায় যে আরো কতো নদী
যে ভরাট হয়ে এভাবে বিলীন হয়ে গেছে তার কোন খোঁজ নেই।আবার অনেক সময় বড় বড় রাস্তা ঘাটের পাশে ফাকা জায়গায় এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় যা ওখানকার আশেপাশের পরিবেশ দূষণ করে।বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় এদেশে
বর্জ্য সমস্যা আরো প্রবল আকার ধারণ করেছে।
এমতাবস্থায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন শিক্ষার্থী এইচএম রঞ্জু ভাই ও তার সহপাঠী পীষুয দত্ত।তারা দুজন মিলে প্রযুক্তি উদ্ভাবন এর মাধ্যমে বজ্রকে সমস্যা নয় বরং সম্পদে রূপান্তর করেছেন।তাদের উদ্ভাবিত এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে পচনশীল বর্জ্য থেকে প্ল্যান্টের মাধ্যমে উৎপন্ন করা হয় বায়ো গ্যাস, ফুয়েল, ড্রাই আইস ও জৈব সার এবং অপচনশীল বর্জ্য থেকে উৎপন্ন হচ্ছে পেট্রোলিয়াম, জ্বালানি তেল, একটিভেটেড কার্বন সহ মোট দশ রকমের দ্রব্য।তাদের এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সরকার কিংবা উপর মহলের কোন ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় তারা টিউশনির টাকায় এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেছে।তাদের এই উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের বড় একটি সমস্যা দূরীভূত হয়েছে।উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তির জন্য শুভকামনা রইল।