মায়ের সাথে পরিবার ছাড়া ঈদ করতে গিয়ে বাসায় ভালো লাগছিলো না। বন্ধুদের কল দিলাম সবাই দাওয়াত নিয়ে বা পরিবারিক প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত। কি আর করা।মাগরিবের নামাজের পর বেরুলাম যদি কাউকে পাই।অনেক খুজেও কাউকে পাওয়া গেল না। একা একাই হাটতে হাটতে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মোড় বা বাইতুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদের সামনে থেকে মুক্তিযোদ্ধা সড়ক ধরে
মাতৃপীট গার্লস স্কুলের দিকে হাটতে শুরু করলাম। শহীদ মিনার পার হয়ে হাসান আলী স্কুলের মাঠ সংলগ্ন লেকের মাঝে রাতের আঁধারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা
অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ(Ongikar Memorial)টি কে বেশ ভালো লাগছিলো। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুর জেলার বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৮৯ইং সালে তৈরি করা হয় এই ভাস্কর্য বা স্মৃতিসৌধ টি। এটি তৈরির জন্য মূলত তখনকার জেলা প্রশাসক এস এম শামছুল আলমের প্রচেষ্টাই বেশি ছিলো।'অঙ্গীকার'এর স্থপতি ছিলেন অপরাজেয় বাংলার শিল্পী প্রফেসর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ।
ডান হাতে উঁচিয়ে ধরা এস,এম,জি (সর্ট মেশিন গান), লেকের মাঝখানে এটিকে সিমেন্ট,পাথর আর লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়। বেদীসহ এই ভাস্কর্যের উচ্চতা ১৫ মিটার।
দ্বারা নির্মাণ করা হয়। উত্তর পার্শের মূল সড়কের সাথে ব্রীজ করে সংযোগস্থাপন করা হয়। দক্ষিন পার্শে চাঁদপুর লাকসাম রেললাইন।স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
রাতের আধারে লেকের মাঝে বেশ ভালো লাগছিলো ভাস্কর্য টি। কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে দেখলাম। ছবি তুলে, বাসায় মায়ের কাছে ফিরে গেলাম।
ধন্যবাদ।