গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে যখন দগ্ধ শহর নগর বন্দর যখন জল শূন্য মাঠ ঘাট এবং পুকুর ডোবা, ঠিক তখনি আশির্বাদ এর আলো হয়ে মেঘ রাজার আগমন ঠান্ডা একটি বাতাস ও তার কালো মেঘ সৈন্য গুলো নিয়ে বাংলার আকাশে।
জলশূন্য পুকুরের আকুতি এবং হাজারো মানুষ যখন প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ তখন এ রাজা তার সৈন্য নিয়ে প্রজার সুরক্ষায় হাজির। হঠাৎ গুড়ুম গুড়ুম ঢাক ঢোল মনে যেন আনন্দের জেয়ার এনে দিল।হাজার ও প্রতিকূলতা ছিন্ন করে অক্সিজেন সমৃদ্ধ শীতল বাতাস শরীরের লোম গুলো কে যখন জাগিয়ে তুলছিল তখনি আকাশ ভেঙ্গে পড়ল সেই কাঙ্ক্ষিত আশির্বাদ এর বৃষ্টি।
গাছ-পালা ফসলের মাঠ এর বুকে জেগে ওঠে বহু প্রতীক্ষিত মুখর মহাউল্লাস।এমনিকি মাঠে থাকা ব্যাঙ্গগুলো ও এই আশির্বাদে তাদের উল্লাস করতে ভুল করে না। তাদের ডাকা ডাকির মাধ্যমে ডাঙায় খবর ছড়িয়ে দেয় যে বর্ষা এসে গেছে তার মেঘ সৈন্য নিয়ে এখন আর পানির অভাব হবে না। নতুন পানি প্রকৃতির নতুন সাজ টিপ-টিপ শব্দে মুখর পুরো শহর নগর বন্দর।
প্রথম দিকে এ বর্ষা তো আশির্বাদ এর আলো বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু এই আশির্বাদ হঠাৎ ই তার রূপ পাল্টেতে শুরু করে। টানা দশ দিন অনাবরত বৃষ্টি যে আনন্দ মনে সঞ্চার করেছিল তার থেকে অধিক চিন্তার কারন হয়ে দাড়াল। মাঋে তিনদিন হয়ত মেঘরাজ সন্তুষ্ট হয়ে সূর্য কে দেখার সৌভাগ্য করে দিয়ে ছিল।কিন্তু কথায় আছে গরিবের পেটে ঘি হজম হয় না, আবার মেঘ রাজের তন্ডব শুরু হল।এবার তিনি নাছোড় বান্দা কোন ভাবেই থামতে রাজি নন, নেমছেন তো নমেই চলেছেন।

একে তো অঋরে বারি ঋরচে অন্য দিকে ভারতের ছেড়ে দেও ফারাক্কা বাধ নদী গুলোকে করছে উত্তাল। অতিরিক্ত পানির চাপ সহ্য করতে না পেরে নদী তার পানি কে ছড়িয়ে দিচ্ছে বন্যা নামক শব্দের মাধ্যমে আর প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। পেটে লাথি পড়ল গরিবের উপর ঘরে এখন অশির্বাদ এর বৃষ্টির পানি, না এখন আর হয়ত এখন অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। একে তো করোনা ভাইরাস দুই এ এই পানি যে ঘর ছিল আগে মানুষের বসবাস এর জায়গা এখন সে ঘরে মানুষ সাপ বিচ্ছু মাছ সব একসাথে থাকে। এখানে সামান্য অসতর্কতা আপনার জীবন কে কেড়ে নিতে সক্ষম।
সর্বপরি দোয়া ও প্রত্যাশা প্রভুর কাছে ফিরিয়ে লও এ অভিশাপের পানি ফিরিয়ে দাও গরিবের ঘর।
Who am I?

My nme is Faysal. I am citizen of Bangladesh . I am aslo a photographer . I love travelers very much and love to serve them.Anyone can contact me
you can contact me on discord user nme @faysal72#4722