লকডাউনে যেখানে জীবনের মানে সবারি শেষ হয়ে যাচ্ছিলো।সব কিছু বন্ধ হয়ে যেখানে একজন মানুষ তার উপার্জন করা জমা টাকাও খরচ করতে বাকি রাখে নি।সেখানে যদি সেই টাকাটাকে ঐ সময় কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যাতিক্রম ধর্মী পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা যায় তবে তা ভুল কিসের।
এমনি এক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে আজ আমি মোটামুটি স্বাবলম্বী।
যখন বয়লার মুরগীর খামারে বয়লার মুরগী পালন করবো বলে ঠিক করছিলাম তখনি অনেকি অনেক কিছু বলছিলো।সেগুলোতে কর্নপাত না করে বাসার বাকি লোকদের সহযোগিতা আর মনের জোরে শুরু করছিলাম
তবে শুরুটা একটু কঠিন হয়ে যায়।পালনের জন্য জায়গা,ঘর তৈরি করতে ভালোয় ব্যায় হয়েছিলো।
তবুও হাল ছেড়ে দেয়নি।প্রথম অবস্থায় এক মামার সহযোগিতায় ৫০০ মুরগী নিয়েছিলাম।
আনার পর এক অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন মানুষের কাছ থেকে প্রথম ১০ দিনের কার্যকলাপ সম্পর্কে জেনে নিয়েছি।
যার মধ্যে বাচ্চা মুরগী গুলোকে প্রথম কয়েকদিন তাপ দেওয়া,টিকা দেওয়া,নিয়মিত মেঝে পরিষ্কার করা ইত্যাদি।
আমার ৫০০ মুরগী পালনে তাদের নিয়মিত ৭৫ কেজি করে খাওয়ার ফিট দিতে হতো।
যেখানে প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে খাদ্য মজুদ ছিলো।
আর তাদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শরীরের দুর্বল দিক নষ্ট করার কাজ করছিলাম।
২০ দিনে আমার ৩০০ মুরগী থেকে ২৯০ মুরগী হয়।কিছু মুরগী মারা যায়।
এবং ৩০ দিনের মাথায় আমার মুরগী দাড়ায় ২৮৬ টা
আল্লার রহমতে ৩৫ দিন পর্যন্ত আর কোন মুরগী মারা যায়নি।
৩৫ দিনে প্রতিটি মুরগী ২-২.৫ কেজি হয় এবং অবশেষে আমি সেগুলোকে বিক্রি করে দেয়।
এবং মোটামুটি ভালো লাভের মুক দেখি।
সামনে আরো বড় কিছু করবো ভাবছি।
আশা রাখি আপনারা দোয়া রাখবেন।