আসলামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই।
ঢাকা যেখানেই হাজার স্বপ্ন নিয়ে মা-বাবাকে ছেড়ে কতনা মানুষের ছুটে চলা। এখানেই প্রতিনিয়ত একজন মানুষ শিখে,স্বপ্ন গড়ে,আবার কেউ হয়ে যায় দেউলিয়া।
এবার ঢাকা ভ্রমন আমার প্রথম না,এর আগেও অনেকবার যাওয়া হয়েছে,তবে লকডাউনের পর এটাই প্রথম ছুটে চলা।গিয়েছিলাম ব্যাক্তিগত এক কাজে কিন্তু
বন্ধুদের মুখে ঢাকার ঐতিহাসিক জায়গাগুলোর বনর্না শুনে আর কাজের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারিনি,ঘুরে বেড়িয়েছি ঢাকার রুপের অনুসন্ধানে।
তাই কাজ শেষ করে আমি আর আমার বন্ধু বেড়িয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরতে,যদিও নিউমার্কেট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গেট পযন্ত তীব্র যানযটের জন্য হেটেই যেতে হয়েছে। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোরার জন্য এসেছিলাম সেহেতু প্রথমে আমরা যাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ইসলামের সমাধিতে। দেখলাম তার পাশেই রয়েছে অনেক নামি-দামি চিএশিল্পী, শহীদদের কবরস্থান।
এবার আমরা প্রবেশ করি সোহরাওয়ার্দী উদ্যােনে।যেখানে প্রবেশ করেই আমি একটু চমকিয়ে যাই ঢাকার মতো এক তীব্র জানজটময় শহরেও যে এতো সুন্দর পরিবেশ আছে সেটা দেখে,এখানকার সেই কোমল বাতাশ যেনো আমাদেরকে আটকিয়ে দিচ্ছিলো থাকার জন্য।
একে একে আমরা আশেপাশের সব জায়গা হেটে হেটে দেখলাম,দুপুরে আমরা প্রবেশ করলাম টিএসসির ক্যান্টিনে, যেখানে বিশ টাকা দিয়ে দুপুরে খাওয়া শেষ করলাম,যদিও শুনেছিলাম এখানে এক টাকা দামের চা-সিংড়া পাওয়া যায়,সেটা নাকি সকাল বেলা দেওয়া হয়,তাই সেটা খাওয়া হলোনা।
এবার আমরা বিশ্রামের জন্য পরিচিত এক বড় ভাইয়ের রুমে গেলাম,তিনি থাকতেন সূর্যসেন হলে।
হল জীবনটা সত্যিই একটু কষ্টের যেটা ভাইয়ের রুমে গিয়ে একটু উপলব্ধি করতে পারলাম।বিশ্রাম শেষে আমরা পরিকল্পনা করলাম অন্য কোনখানে আরও ঘুরতে যাবো,এবার প্লান করলাম,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যাবো,সেখানে আমার এক মামা পড়াশোনা করে,তাকে ফোন দিলাম,সেও ফ্রি ছিলো,তাই রওনা দিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে।
যানযট ঠেলে আমরা প্রবেশ করলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে,
সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো আমার মামা,সে তার ক্যাম্পাস আমাদের ঘুরে দেখালো,শেষে সে আমাদেরকে নিয়ে গেলো সদরঘাটে।
সদরঘাটে গিয়ে আমি চমকিয়ে উঠলাম, কি অপরুপ দৃশ্য,পানির সাথে ঢেউয়ের কি সুন্দর খেলা,যেহেতু আমরা সন্ধ্যায় পৌছিলাম সেখানের রাতে লঞ্চের দৃশ্য গুলো দেখে মনে হচ্ছিল এক একটা সৌন্দর্যের শক্তি।
আমরা লঞ্চের ভিতরে উঠলাম,লঞ্চের ভিতর থেকে বাইর দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিলো লঞ্চে করে ঘুরার মজাটা মনে হয় আজেই নিয়ে নেই।
লঞ্চ থেকে বেড় হয়ে আমরা কিছুক্ষণ বাইরে দাড়িয়ে দেখছিলাম বাইরের রুপ,নিজের চোখে দেখা ঢাকার রাতের সৌন্দর্য।