বিদ্যুৎ শব্দটির সাথে কম বেশি আমরা অনেকেই পরিচিত।বিদ্যুৎ বিতরণ আবিষ্কার করেন টমাস আলভা এডিসন।যে আমাদের খুব স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তি।তাকে আমরা চিরকলা স্মরণ করবো তার এই অবদানের জন্য।
আজ আমারা মধ্যম আয়ের দেশ।তবে এ দেশে এখন ঘরে ঘরে আলোর মেলা।যার অবদানটার পিছনে রয়েছে তার নাম।
আজ সারা বিশ্ব বিদ্যুৎ এর বলে অনেক কাজ খুব সহজে করতে পারছে।বিদ্যুৎ আছে বলেই বর্তমান সময়ে আমরা অনেক শান্তিতে বসববা করছি।
যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন গ্রামে হারিকেন বা ন্যাম্পোর আলোয় পড়ালেখা করতাম।আমাদের মায়েরা হারিকেনের আলোয় রান্না বান্না করতো।যেদিন কেরোসিন তেল থাকতোনা সেদিন আমরা বাহিরে বের হতাম চাঁদের আলোর নিচে।আবার যেদিন খুব গরম সেদিন হাত পাখার বাতাস যেন আর গায়ে লাগেইনা বাহিরে বের হওয়াটা যেন খুব জরুরি।
হঠাৎ কোথা থেকে যেন এক আলোর উদীয়মান। সব চেন নতুন করে গড়ে তুললো তার মায়ায়।চারিপাশ যেন কেটে উঠলো তাদের সকল হতাশা,আলোয় আলোড়ন।
কি অদ্ভুত একটা ব্যাপার একটা কাচের ন্যায় গোল জিনিসের মাঝ থেকে আলো বের হয় যা পুরো রুমটাকে আলোকিত করে।আবার ৩ পাখা ওয়ালা ফ্যানটাও যেন অনেক দ্রুত গতীতে চলে,সেখান থেকে বয়ে আসতে থাকে ঠান্ডা বাতাস।
আহা কি শান্তি,যেন এক আরেক জগৎ। পড়াশুনায় সুবিধা,বাসায় থাকার সুবিধা।দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,কারখানা সব কিছুর জন্যেই যেন এক বড় অপদান এই বিদ্যুৎ।
তবে এটি যেমন আমাদের জন্য অনেক উপকারী তেমনি অনেক দিক থেকে অসুবিধার পাত্র।যদি কখনো বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে আমাদের পড়তে হয় মহাবিপদে।যেন একদল লোক নিজেকে বন্দি করে রেখেছে চার দেয়ালের মাঝখানে।
বিদ্যুৎ চলে গেলে পড়ালেখার অসুবিধা,বাসায় অসুবিধা,সবচেয়ে বড় অসুবিধা সেটি হলো যদি খুব গরমের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়,তাহলে অনেক ভোগান্তিতে থাকতে হয় নিজেদের।
অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এ ১ মিনিট বিদ্যুৎ অফ থাকলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়।আবার এই বিদ্যুৎ এ অনেক ঝুঁকিও আছে যদি কেউ বিদ্যুৎ এর স্পর্শে আসে তাহলে তাকে মরণ পাল্লার সাথে লড়তে হয়।যা বড়ই বেদনাদায়ক,আমাদের এটি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তবে এখন আর সেই ছোটবেলার মতো ফিরে পাইনা সেই জোনাই পোকা,কেরোসিন এর গন্ধ।যা নাকে আসলে খুব খেতে ইচ্ছা করতো।কেন যে আর সেই দিনগুলো নেই সন্ধ্যা হলে আর লুকোচুরি খেলা।
বিদ্যুৎ এসে উন্নয়ন করেছে বটে,
তবে নিয়ে গেছে হাজারো স্মৃতি।
সাবধানে থাকতে হবে প্রতিটা সময় নিজেদেরকে।