আসালামুআলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর ভালো থাকেন সবাই এই দোয়া আল্লাহর কাছে করি।
বন্ধুরা,পাচন তরকারি সবাই মুটামুটি চিনেন।সব রকমের সবজি দিয়ে পাচন তরকারি রান্না করা হয়ে থাকে।খেতে খুব সুস্বাদু, পুষ্টিকর,এবং ঔষধি গুন আছে। প্রচলন আছে পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্র মাসে বিভিন্ন সবজি দিয়ে রান্না করা নিরামিষ পাচন খাওয়ার রেওয়াজ আছে বাঙ্গালী এবং নৃত্যওিক জনগোষ্ঠী মধ্যে।পাহাড়ের আদি বাসীরা রান্না করে পাচন খেয়ে থাকে।সনাতন ধর্মের মানুষের মধ্যে পাচন খাওয়ার প্রচলন ছিলো।এখন ধর্মর্বণ নির্বিশেষ সবার ঘরে পাচন রান্না করে খাওয়া হয়। চট্টগ্রামের মানুষে প্রচুর পছন্দ করে পাচন তরকারি।পাচন তরকারি রান্না করা সহজ এবং সুস্বাদু।হাতের কাছে কিছু সবজি থাকলে পাচন রান্না করা যাই।আমি আট রকমের সবজি দিয়ে আজকে পাচন রান্না করেছি।আপনারা চাইলে আরো অনেক রকমের সবজি দিয়ে পাচন রান্না করতে পারেন।
তাহলে চলোন কথা না বারিয়ে।আমি কিভাবে মজাদার পাচন রান্না করেছি। আপনাদের ধাপে ধাপে দেখায়।
...উপকরণ...
1/ কাঁচা কলা 1-টি,
2/ পটল 125 গ্রাম,
3/ আলু 2-টি,
4/ ধুন্দুল -1 টি,
5/ চিচিঙ্গা 1-টি,
6/ তিতা করোলা 1-টি,
7/ ঢেঁড়স 100 গ্রাম,
8/ টমেটো 3-টি,
9/ পেয়াজ 1-টি,
10/ মসুর ডাল 1-কাপের মত,
11/ কাঁচা মরিচ 6-7 টি,
12/ আদা বাটা 1/3 চামচ,
13/ রসুন বাটা 1/3 চামচ,
14/ সরিষা বাটা 1/2 চামচ,
15/ লাল মরিচ গুড়া 1/3 চামচ,
16/ হলুদ গুড়া 1/2 চামচ,
17/ জিরা,ধনিয়া গুড়া 1/3 চামচ,
18/ এলাচ,দারুচিনি,লং,গুল মরিচ গুড়, 1/3 চামচ,
19/ পাচঁফোন 1/4 চামচ,
20/ তেজপাতা 1-টি,
21/ সয়াবিন তেল 4-চামচ,
22/ ধনে পাতা পরিমাণ মত,
23/ লবন স্বাদ মত,
...প্রস্তুত প্রণালী...
প্রথমে আলু,পটল,কাঁচা কলা,ধুন্দুল,চিচিঙ্গা,ছিলে এবং তিতা করোলা,ঢেঁড়স মাঝারি আকারের টুকরো করে নিবো।তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিবো।শুধু ঢেঁড়স গুলো আলাদা করে ধুয়ে নিবো।মসুর ডাল পানি দিয়ে ধুয়ে নিবো।
তারপর চুলায় একটা পাতিলে চার চামচ সয়াবিন তেল দিবো।তেল গরম হলে আগে পাচফোরন দিবো।তারপর পেয়াজ কুচি,কাঁচা মরিচ,এবং তেজপাতা দিয়ে তেলের সাথে ভাজবো।
পেয়াজ কুচি,কাঁচা মরিচ হালকা ভাজা হলে।আদা,রসুন বাটা পেয়াজের সাথে কিছুক্ষণ ভাজবো।
আদা,রসুন হালকা ভাজা হলে।সরিষা বাটা দিয়ে পেয়াজ,আদা,রসুন বাটার সাথে কিছুক্ষণ চামচ দিয়ে নেড়ে অলপ পানি দিয়ে।একে একে সব মসলা পাতিলে দিব।সরিষা বাটা দিলে পাচন তরকারির অন্য রকম স্বাদ লাগে।
সব মসলা কিছুক্ষণ কষিয়ে তারপর ধুয়ে রাখা মসুর ডাল পাতিলে দিবো।
তারপর সব গুলো সবজি মসুর ডালের সাথে দিয়ে দিবো।শুধু ঢেঁড়স,টমেটো ছাড়া।
সব গুলো সবজি,মসুর ডাল,মসলার সাথে পাঁচ মিনিট কষাবো।চুলার মাঝারি আঁচে।
সবজি মসুর ডাল পাঁচ মিনিট কষানো হলে।পরিমাণ মত পানি দিবো।সবজি,মসুর ডাল সিদ্ধ হওয়ার জন্য।একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার মাঝারি আঁচে পাচন রান্না করবো।
সবজি হালকা সিদ্ধ হলে ঢেঁড়স,টমেটো দিয়ে দশ মিনিট পাচন তরকারি রান্না করবো।
দশ পর মিনিট পাচনের সবজি সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখবো।সিদ্ধ হয়ে পাচন তরকারির ঝোল গায়ে গায়ে হলে।ধনে পাতা পাচনের তরকারির উপর ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিবো।
তারপর গরম গরম পরিবেশন করবো।গরম ভাতের সাথে।তবে পাচন তরকারি রুটি দিয়ে অনেক মজাদার।আমি পাচন তরকারি এমনি খেতে খুব পছন্দ করি আমি।
বন্ধুরা,আমার পাচন তরকারি রান্না ভালো লাগলে।ঘরে রান্না করে খেয়ে দেখবেন।আশা করি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।পাচন তরকারি সাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো কারণ আমরা এক দিনে সব রকমে সবজি খেতে পারিনা।পাচন তরকারি রান্না করলে সব রকমের সবজি পুষ্টি পাই।
/ধন্যবাদ\