
source
তারপর কি হলো শাকচুন্নি একজন বুড়ি রূপে এসে বৌমাকে ডাকতে লাগল কে যায় জগতি বাড়ির বউ না বৌমা বলল জি মাসিমা কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না তা আমি হলাম মল্লিক বাড়ির বউ ও আচ্ছা তাই সময় এখানে কি করছেন শুনেছি জায়গাটা ভালো না তা আপনার ভয় করেনা মাসিমা তা আমার আবার ভয় তিনকাল গিয়ে এক কাল ঠেকেছে
বৌমা বলল ওই শ্যাওড়া গাছে নাকি এক দুষ্টু শাকচুন্নি থাকে সুযোগ পেলেই সে নাকি মানুষের ক্ষতি করে আমি চাই আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে শাকচুন্নি তখন বলল যাবে কেন দু'দণ্ড দাড়াও আপনি আমাকে যেতে দিন বৌমা বলল আমার কেমন ভয় ভয় করছে ভয় কিসের আমি তো আছি তখন শাকচুন্নি বলল বৌমা তুমি শাকচুন্নির কথা বলছিলে তুমি তাকে দেখেছ দেখতো এরকম কিনা দেখতে শাকচুন্নি তার নিজের রূপ ধারণ করে বৌমাকে ভয় দিল
তারপর বৌমাকে তার যাদু দিয়ে শ্যাওড়া গাছের মধ্যে বন্দি করে রাখল এবং বৌমার রুপ ধারণ করলো শাকচুন্নি তারপর শাকচুন্নি গরু নিয়ে বাড়ির দিকে গেল শ্বাশুড়ি বললো আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তুমি আসছো না তখন বৌমার রূপে শাকচুন্নি বলল আর বলবেননা মা গরুটি হাত থেকে ছুটে গিয়েছিল আমাকে অনেক দৌড় করিয়েছে আমি ওর সাথে শক্তিতে পারি শাশুড়ি বলল যাও তুমি একটু বিশ্রাম করো আর শোনো সনাতন খবর পাঠিয়েছে আজ রাতে আর ফিরবে না কাল রাতে ফিরবে আই বলে শাশুড়ি একটু বিশ্রাম করলো

source
এদিকে বৌমা রূপে শাকচুন্নি তার জাদু দিয়ে সমস্ত ঘরের কাজগুলি সেরে নিল শ্বাশুড়ি বললো বৌমা রান্না বসাবো না শাকচুন্নির রূপে বৌমা বলল রান্না হয়ে গেছে মা শ্বাশুড়ি বললো সে কি কাঠ কোথায় পেলে ঘরে তো কাজ ছিলনা শাকচুন্নি বলল সে আপনার চিন্তা করতে হবে না আমি ভোর বেলায় উঠে সব জোগাড় করে রেখে রান্না সেরে নিয়েছি ফ্রী খুশি হয়ে গেল এবং বলল বাবা বৌমা তো কাজের হলো কবে তখন দুজনে মিলে খেতে বসে শাশুড়ির হঠাৎ করে বৌমার প্লেটের দিকে চোখ যায় চিন্তা করে বোমা দেখে আজকে নিচের তলায় দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েছে আবার বলল তবে হ্যাঁ যে খাটাখাট লো খিদে তো পাবেই
বৌমা ডালটা জারি দিয়েছো দারুন হয়েছে এক টুকরো লেবু হলে আরো ভালো লাগতো তখন বৌমা বলল লেবু খাবেন মাদার আমি এক্ষুনি এনে দিচ্ছি বৌমার রূপের শাকচুন্নি লম্বা করে হাতটা বাড়িয়ে জানালার ওপাশে থেকে লেবু গাছ থেকে ছিঁড়ে কেটে শাশুড়ি মাকে এনে দিলো শাশুড়ি মা তার এই কাণ্ড দেখে ভয়ে চুপ থেকে মনে মনে ভাবতে লাগল এ তো আমার বৌমা বৌমার রূপে অন্য কোন প্রেতাত্মা এখন চুপচাপ থাকি রাতে সনাতন আসুক
তারপর ওকে বলবো তারপর রাতে সনাতন ফিরে এলো বলল মা মা তখন মা বলল সনাতন তুই এলি সনাতন মামা তোমার বৌমার সাড়া পাচ্ছি না কেন ও মা রান্নাঘরে তোর সাথে কথা আছে ছেলে বলল কি কথা মা তারপর সবকিছু ছেলেকে খুলে বললো ওদিকে তো বৌমা রান্না করছিল ছেলে তারপর বললো ওমা এই ব্যাপার তাহলে তোমার বৌমা না বৌমার রূপে শাকচুন্নি তোমার বৌমাকে শ্যাওড়া গাছে আটকে রেখেছে তাই ঘরে ফেরার পথে মা আমার মনে হল কেউ যেন আমাকে ওই গাছ থেকে ডাকছে শ্বাশুড়ি বললো এখন উপায় ছেলে বলল তুমি কিচ্ছু ভেবো না আমি দেখছি কি করা যায় আজ এ পর্যন্তই কালকে আবার তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়ে যাবো আপনাদের সামনে ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেন আমার পাশে থাকবেন আমার গল্পটি বলা পছন্দ হলে আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন আর কে কে ঠাকুরমার ঝুলি দেখেছেন ছোটবেলায় এখন ও দেখেন এখনো না দেখলে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করে অবশ্যই ঠাকুরমার ঝুলি কাটুন টি দেখবেন ।