গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় ঘড়ি দেখি সময় তখন রাত ৩টা ১৫। অনেক চেষ্টার পরও ঘুম আসছিল না। কি করবো ভাবছিলাম। ফোনটা নিয়ে বারান্দায় এসে বসলাম চারদিক নিশ্চুপ নির্ঘুম। নিরবে একা আমি বসে বসে আকাশ দেখছি।
জোছনার আলো চারিদিকে। ফক ফকা সাদা দেখা যাচ্ছে সবকিছু। চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখলে আমার অনেক হিংসা হয়। কেন তুমি এত সুন্দর চাঁদ? হাত দিয়ে যদি ধরে দেখতে পারতাম আলতো করে ছুঁয়ে দিতাম।

প্রশ্ন করতাম তুমি এত সুন্দর কেন যে সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করে কখন রাত হবে? তোমার দেখা ছোট বেলায় গ্রামের বাড়িতে সন্ধ্যাবেলায় পড়তে বসলে যখন বিদ্যুৎ চলে যেতো তখন পেতাম। অনেক খুশি হতাম তখন তোমায় দেখে।
বিকাল বেলা আগে থেকে চাচাতো ,ফুফাতো ভাই-বোনদের কে বলে রাখতাম- বিদ্যুৎ চলে গেলে রাতে দৌড় দিয়ে আমাদের বাড়িতে আসবি সবাই মিলে গোল্লাছুট খেলব। চাঁদের আলোয় আমরা গোল্লাছুট খেলতাম।
ছোটবেলার স্মৃতি ছোটবেলার বন্ধু আর ফিরে আসবে না। জানিনা কে কোথায় আছে কেমন আছে। হয়তো আমি যেমন মধ্যরাতে ওদের কথা মনে করছি কে জানে ওদের আমার কথা মনে পড়ে কিনা কখনো! তোমরা সবাই যেখানেই থাকো ভালো থাকো।
হঠাৎ চমকে উঠে দেখি কুকুর ডাকছে। ভোর হবে প্রায়। রাস্তার পাশে রোড লাইট জ্বলছে। হয়তো বা কিছু দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করছে।

চাঁদের আলো যেমন পুরো পৃথিবীতে আলো ছড়ায় তেমনি অন্ধকার ঘরে আলো দেয় বাতি তেমনি রাস্তার আলো ছড়ায় রোড লাইট যাতে করে আমাদের চলার পথে অসুবিধা না হয়।
আসলে কি জানেন, আমি কেবলমাত্র একজন সাধারণ মানুষ আর আমি যা জানি সেটাই আমার শক্তি। কারণ সেটা তো আমার কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না তাই যতটুকু জানি আরও জানার চেষ্টা করবো। কারণ জীবন অনিশ্চিত !
আমি শক্তি রেখে বুদ্ধি দিয়ে চলতে চাই। আমি ব্যর্থ হব না আমি জানি কারণ আমি ভুল স্বীকার করতে জানি। আমার ঘাটতি কোথায় আমি বারবার খোঁজার চেষ্টা করি যতক্ষণ সফল না হই ততক্ষন আমি আমার শান্তির ঘুম ত্যাগ করি।
নিজের সাথে লড়াই করে পারব না কেন? হবে না কেন আমাকে দিয়ে?
অন্ধকার না হলে যেমন আলোর এত প্রয়োজন বুঝতাম না তেমনি জীবনে খারাপ সময় না আসলে বুঝতাম না হয়তো জীবনের মূল্য কতখানি......