Pinterest
আমার অনেক গুলো পছন্দের লাইনের মাঝে একটা
"সময় বয়ে যায় "
যেকোনো সময়ের মধ্যে কতো কিছুই নাহ জড়িত থাকে। আবেগ, চাহিদা, ভালোবাসা আরো কতো কি! ভালো সময়, খারাপ সময়, নির্লিপ্ত সময় আরো কতো রকম ফের! এই সকল সময়ের মধ্যে দিয়েই আমাদের যাত্রা! একবার ভেবে দেখেছেন, কোন সময়টার মাঝে দিয়ে যেতে সবচাইতে বেশি ভালো লাগে? দিনগুলি কেটে যায় চোখের পলকে!
কথায় কথায় আমরা বলি সময়টা ভালো ছিলো রে, বা কি সময়টাই না ছিলো তখন! এরকমটা। আবার বাংলায় আশাবাদী কিছু লাইন বিদ্যমান এই সময় নিয়ে
যায় দিন খারাপ, আসে দিন ভালো!
প্রাক্তনকালে মানে সময়ে, তখন বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা লোক টুং টাং বাজাইতো এবং পরবর্তীতে তারা যে বাউল নামে পরিচিতো সে বিষয়ের সাথে পরিচিতো হই। কিন্তু দুক্ষের বিষয় তাদের সাথে যেভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিৎ সেভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাহ আমাদের কখনোই। তাই পথ খুঁজতে খুঁঁজতেই সময় শেষ হয়ে যায়! যে সময়ে বিষয়টা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত ছিলো তা নষ্ট হয়ে যায়, ঘুনে ধরে, পোকা খায়, ঝুড়ঝুড়া হয় ! বয়াতির লাইনটা ছিলো এমন
এই সময় সময় নয়, আরো সময় আছে,
এই সময় নিয়ে যাবে সেই সময়ের কাছে!
আরেকটু বিস্তর বলি, যদি সময়কে গালমন্দ করে তাকে অস্বীকার করা হয় ! আপনি সময়কে গালমন্দ করলেন তার মানে সৃষ্টিকর্তাকে গালমন্দ করলেন! মানুষ তার তথাকথিত খারাপ সময়কে গাল মন্দ করে আবার সেই সময়ের ( সৃষ্টিকর্তা ) কাছেই ভিক্ষা চায় ভালো সময়ের জন্য। কি আজব জিনিস। কুরআনে বলা আছে
তোমরা কেনো সময়কে গালমন্দ করো, আমিই তো সময়।
স্পষ্ট রেফারেন্সিং করতে না পারার জন্য দুক্ষিত, কিন্তু আয়াতটার বাংলা অনুবাদ এটাই। যাই হোক কথায় ফিরি! কি কথা বলছিলাম যেনো! হুম সময়; এই সময়কে কেন্দ্র করে জীবনচক্র ঘোরে। সুতরাং সময়কে আমি দুই অর্থে ব্যাবহার করবো লিখাটায় প্রথম অর্থে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে। দ্বিতীয় অর্থে ঘড়ির কাঁটা হিসেবে!
কতগুলো সময় খুব ভালো যায়, লেপের নিচে শুয়ে আছেন একটু উষ্ণতা লাগছে , বিষয়টা এমন যে, আরেকটু ঘুমায়ে নিলে ভালো লাগতো কিন্তু পাশে ধোঁয়া ওঠা চা, জানালা দিয়ে আলতো বাতাস আসছে, আদর করে দিয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে! এরকম সময় আমার কাছে ভালো লাগার মতন, জীবন-যাপন খুব সোজাই মনে হয় তখন!
হঠাৎ একদিন দেখলেন পার্থিব কোনো চাহিদা আপনাকে এতো পীড়া দিচ্ছে, আপনার মাথা ভার প্রচন্ডরকম, আপনি কূল কিনারা পাচ্ছেন নাহ খুজে! তখন সময়টা খারাপ লাগবে, উতরানোর পথ আপনি বারংবারই খুজবেন। এই সময়কে আপনি কখনো ভালোবাসতে পারবেন নাহ!
জগতের সকল পীড়া পার্থিব কারনবসত ঘটে থাকে! সম্পর্কের মূল্যায়ন,আকাক্ষা, ইচ্ছা, ত্যাগ সকল কিছুই পার্থিব দোলাচলে এদিক সেদিক হয়। সময়কে যদি এসব কিছু থেকে আলাদা করা যায় তবে সে একটু হাফ ছেড়ে বাঁচে, মনে প্রফুল্লতা আসে!
আমি গতদিন একজন সেলাই দিদিমনিকে যাইতে দেখে ভাবছিলাম, এরা মানুষ নাহ, অন্য কোনো জীব, পার্থিব চিন্তার বাইরে এদেরকে চিন্তা করে দেবার সুযোগ করে দেওয়া হয় নি! আমার কষ্ট হয় না ইদানীং।
আরেকদিন দেখলাম হাটু পানিতে এক অন্ধ রাস্তা পারি দিচ্ছে, ভয়ে, বিষাদে! আমি ছিলাম বাইকে আমার আর তার মাঝে লক্ষ লক্ষ যোজন দুরত্ব।
তারা কি সময়কে ( সৃষ্টিকর্তা ) পেয়েছিলো! নইলে কিসের ভরসায় থাকে তারা! বন্ধু @zayedsakib একটা গান অবশ্য গায়, কিন্তু তার গলায় আকাক্ষা সময়কে পাবার, সে এখোনো প্রফুল্লচিত্তে গানটা গাইতে পারে নাহ। কার গান জানিনা তবে একটা লাইন শেয়ার করি
দেখলে ছবি পাগল হবি, পাইলে পাইতে পারো ক্ষোদারে
তবে এই যে তাঁকে খোজা! কাকে? হুম সময়কে। কোন সময়কে? ঘড়িঁঁর কাটার সময় নাকি অন্যকেউ; যে কুঞ্জবনে থাকে, চাঁদ উঠলে দেখা দেয়! ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় নাহ, অনুভব করা গেলেও যাইতে পারে তবুও আকুতি প্রেমে, আহা! কি করুন পরিনতি!
এভাবে জীবন চলে যাচ্ছে, সুখের বিষয় আজকালকার বাজার ব্যাবস্থার সাথে আমার পরিচয় কম! আমি পত্রিকাও পরি নাহ তেমনটা! পার্থিব জালে আমি ধরা পড়তে চাই নাহ! মাঝে।মাঝে বিপর্যয় ঘটে, ডুবে যাই অতলে!
ইদানীং চোখের পাওয়ার খুব কমে যাচ্ছে! ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম, সে বললো অপটিক নার্ভের পানি শুকাচ্ছে! আমি বললাম পানি বেশি খেলে হবে নাহ! এরকম সরল কৌতুকে সে গললো নাহ! চেহারা আরো শক্ত হলো! আমাদের জেনারেশন কে গালমন্দ করলো।! আমিও ছেড়ে দেবার পাত্র নই , বললাম, আমরা দাড়িঁয়ে আছি আপনাদের তৈরি মাটির ওপর ! বিনা কারনে দোষ না দিলে খুশি হবো! আহা কথোপকথনে ভাঁজ চলে আসলো দুইজনের! বেশি দূর গড়াতে দেওয়া যাবে নাহ, পানি ঢালতে হবে! নইলে আগুন জ্বলে যাবে!
আমি ঔষুধ গুলো খাবো নিয়মিত আপনি প্রেস্ক্রাইব করেন।
ওষুধ নিয়ে আসছিলাম, আর কিছুদিন বাঁচতে ইচ্ছা করছে, কিছু সত্য জানতে ইচ্ছা হয় খুব ইদানীং! জন্ডিস্টাই বাদ সেদে বসছে, লিভার সিরোসিস হয় নাকি সে ভয়ে আছি প্রচন্ড !