মৃত্যুর কথা ভাবলে আমি ভাবতে শুরু করি আমার কথা।শাহাদাত এর কথা।পুলসেরাত বা হাশরের ময়দানের কথা আমি ভাবতে পারিনা।অমরত্ব বা পরজীবন ভাবলে বিস্মিত হয়ে যাই।আমি ন্যায়, অন্যায়,নরক, জান্নাত বুঝিনা।আমি কেবল ভাবতে পারি এইযে শাহাদাত এর গায়ে রোজ রোজ কত রঙের জামা পরাই। আলতো করে নিজেকে বেঁধে রাখি।তারপর যখন হাঁটি, পায়ের উপর দাড়িয়ে থাকি,পা বড় হয়না। অথচ মাথাটার ওজন রোজ রোজ এত বেড়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি গলি গলি হেঁটে আমি বিজ্ঞাপন দিচ্ছি, "আমার মাথাটা কেউ কিনুন"। মৃত্যুর কাছে দাঁড়ালে আমি কান্না করে ওঠি আমার মাথাটার জন্য। আহারে শাহাদাত। আহারে শাহাদাত এর শরীর।শাহাদাত এর হাতের লেখা সুন্দর,মরে গেলে ছয় পৃষ্ঠার চিঠিটা হিট হবেই। সে মাটিতে আঘাত না করে হাঁটে।পোকামাকড় মেরেও মাফ চেয়ে বসে। কথা বলে আস্তে যেন মানুষের সঙ্গে বিচ্ছেদ না হয়। অথচ সম্পর্কে আছে এমন মানুষও গুনতে পারেনা।মানুষের ভীড়ে একমাত্র শাহাদাতই তার কথায় মনোযোগ দেয় আর আফসোস করে এতএত কথা বলে অথচ কোনদিন একটি গুলি ছুড়ে মারতে পারেনা।রাতে দুহাত তুলে সমস্ত অন্ধকারকে বলে, যেদিন আমার মন খারাপ থাকবে না সেদিন আমার জান কবজ কইরো।মাঝে মাঝে কবিতাদের সুইসাইড নোট বলে চিৎকার তোলে কিন্তু কেঁদে দেয় অনেক দূরের কোন বন্ধুর জন্য। যার সংসারে মন ছিলোনা,ছবি আকঁতো,গাইত।তারপর আর কিছু ভাবতে পারিনা মৃত্যু নিয়ে। তোমাদের যেযার ভালোবাসার গন্ধে তো রয়েই যেতে পারি।যা কিছু ভালোবাসো তাকেই শাহাদাত বলতে পারো।কিন্তু আমার কন্ঠ আমার রোজ নখ কামড়ানো!মৃত্যু কিহ এক ভয়ংকর শূন্য।দূরে যাবার দুঃখ আমার নেই কিন্তু আমি যে শাহাদাত কে ভালোবাসি ঈশ্বর?