হ্যালো,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? অবশ্য আমরা যারা গতকাল বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচ দেখেছে তাদের মনের অবস্থাটা ভালো থাকার কথা না। অনেক আশা ভরসার পরও বাংলাদেশের ভালো খেলা দেখতে না পাবার আক্ষেপ এবং দুঃখটা রয়েই গেলো। বিপক্ষ দলগুলোর জন্য ঘুড়ে দাঁড়ানো বাংলাদেশের চিত্র দেখে মনে হোলো যেনো কেউ জোড় করে খেলতে নামিয়েছে এবং খেলোয়াড়রা যেনো ইচ্ছের বিরুদ্ধে খেলছে। সত্যিকারভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট শুরুর ম্যাচে ভালো কোনো কিছু উপহার দিতে পাড়েনি বাংলাদেশকে।
IMAGE LINK
একটা সিম্পল কমনসেন্স যদি খেলোয়াড়দের না থাকে তাহলে বিপক্ষ দলের জন্য, তাহলে নিজেদের স্ট্রাটেজি কিভাবে ঠিক করবে আমি তাই বুঝতে পাড়ি না। আমি যদি সাকিবের জায়গায় টসে থাকতাম তাহলে, টসে জিতে সবার আগে নিশ্চিন্তে বল করার সিদ্ধান্ত নিতাম। আচ্ছা এখন বলি কমনসেন্স কেনো বলসি, আফগানিস্তানকে নিয়ে সিম্পল কিছু হিসেব দেখাই- আফগানিস্তান যদি আগে ব্যাট করে তাহলে একটা ভালো দলের সাথে ধারাবাহিক হিসেবে সর্বোচ্চ ১৫০+ রান করতে পাড়ে। আর ১৫০+ টার্গেট আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন কোনো টার্গেট না আমার ক্রিকেটিয় গবেষণা যা বলে। আবার দেখা যায় আফগানিস্তান আগের ম্যাচে আগে বল করে মাত্র ১০৫ রানে শ্রীলঙ্কাকে অল আউট করে তাদের বোলার ভালো হওয়ায়। এই দুটা ধারণা থেকে আমি অন্তত বলতে পাড়ি আফগানিস্তানকে আগে বল করতে না দিয়ে ব্যাট করতে দিলে তাদের বেশির ভাগ ম্যাচ বর্তমান দলের হিসেবে তাদের হারানো সহজ উপায়।
আবার সাকিবের এটাও বুঝা উচিত ছিলো আমাদের খেলোয়াড়রা যদি ভালো কিছুর মাধ্যমে শুরু করতে পাড়ে , তাহলে পড়ের শেষ দিকেও ভালো করতে পাড়ে। মানে আমাদের দলের প্রথম অংশ যদি খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়ানোর মতো হয়, তাহলে দ্বিতীয় অংশ খুব ভালো না হলেও মোটামুটি ভালো করতে পাড়ে। আর আমাদের খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থার ধরণটাই এমনই। এই বিষয়গুলো একজন অধিনায়কের যত দ্রুত সম্ভব বুঝতে পাড়া খুব বেশি দরকার, তা না হলে দলের খেলোয়াড়দের মনোবল ধরে রাখা সম্ভব না এবং দেশের জন্য খেলোয়াড়রা ভালো কিছু করতেও পাড়বে না।
IMAGE LINK
গতকালের ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটম্যানদের স্কোরের দিকে তাকালে সত্যি কাইন্দা দিতে মন চায়। প্রথম সারির ৬জন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে মাত্র ৬০ রান এবং তারপর ৭তম উইকেট মোসাদ্দেক করে ৪৮ রান তাও নিজের বোকামির জন্য ৫০ রানটাও পূরণ করতে পাড়েনি। যে একটা বাজে ব্যাটিং উপহার দিসে সত্যি নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে। আর টসে জিতে ব্যাটিং নেয়ায় অটোমেটিক আফগানিস্তানের গেম প্লে আগের ম্যাচের মতোই কাজে লেগে যায় সহজেই। কারণটা হোলো আফগানিস্তানও যানে কোনো ভালো দলের বিপক্ষে খেলার জন্য তারা আগে বল করা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। ঠিক এই বিষটাই আমাদের সাকিব সত্যি বুঝতে পাড়েনি। যার ফলে মাত্র ১২৭ রানে বাংলাদেশকে অলআউট করে খেলার প্রেসারটা আগেই ৫০% কমিয়ে নিয়েছিলো আফগানের খেলোয়াড়রা।
যার ফলে ১২৮ রানের টার্গেটে খুব সুন্দরভাবে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করতে শুরু করে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। যদিও স্পিন এ্যাটাকের মাধ্যমে রানের গতি প্রথম ১৬ ওভার কমিয়ে রাখতে পাড়লেও, তার পড়ে ৩ ওভারে পেসাররা যে বাজে বল করেছে তার সাহায্যে খুব সুন্দরভাবে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয়। তবে একটা জিনিস আমার কাছে মজার লেগেছে , আমাদের মাহমুদুল্লাহ ঠিক যেভাবে ক্যাচ আউট হয়েছে, ঠিক একই রকম একটা ক্যাচ সে নিজেই মিস করেছে। এমন মিস একটা দলের খেলা নষ্ঠ করার জন্য যথেষ্ঠ আমার কাছে মনে হয়। তার পরেও বলি সকল সমস্যা এড়িয়ে এশিয়া কাপে নিজেদের ও দেশের সম্মান বাঁচানো উচিত।
ধন্যবাদ।