
SOURCE
হ্যালো সকল ক্রিকেট অনুরাগীরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। তিন ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ সিরিজের মধ্যে পর পর দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হাতাশাজনক পরাজয়ের পর, দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে সাদা ধোলাই হওয়া থেকে ডিফেন্স করে দেখালো বাংলাদেশের টাইগাররা। তবে কথা হলো যা হবার তা প্রথম ২ ম্যাচেই হয়ে গিয়েছিলো, শেষ ম্যাচের আগেই জিম্বাবুয়ে দল ওয়ানডে সিরিজ জিতে গিয়েছিলো। আর তাই শেষ ম্যাচ জেতার পর একটা গানের লাইন খেলোয়াড়দের জন্য মন্ত্র হিসেবে বলতে টিপস দেয়া দরকার – “ সময় গেলে আর সাধন হবে না “। সুযোগ ও সময় হলে এটাও জানানো দরকার যে, “ ভাবিয়া খেলিয়া ম্যাচ, খেলিয়া ভাবিও না “। অবশ্য আমরা যেহেতু কাজের চেয়ে কথায় বেশি পারদর্শী তাই স্বাভাবিকভাবেই বলতে হয়, “ শেষ ভালো যার , সব ভালো তার ”। আর তাই মাঝে মাঝে কথা দিয়ে ও বুদ্ধি খাটিয়ে ক্রিকেট খেলে দিতে দেখা যায়।

SOURCE
যাক এবার একটু মাঠে যাই, শেষ ম্যাচেও টসে হারের সুবাদে বাংলাদেশ দলকে আগে ব্যাট করার সুযোগ করে দেয় জিম্বাবুয়ে দল। প্রথম ২ ম্যাচের মতো মোটেই ভালোভাবে শুরু করতে পাড়েনি বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটি। মিস কমিউনিকেশনের ফলে দঃখজনক রান আউট হতে হয়েছে তামিম ইকবালকে দলীয় মাত্র ৪১ রানের সময়। অপর দিকে এনামুল হক বিজয় তার ধারাবাহিক ব্যাটিং করতে থাকলেও ৪৭ রানে পর পর শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট ধারাবাহিকতা বাংলাদেশ দলের রানের গতি কমাতে থাকে। কিছুক্ষণের জন্য মাহমুদুল্লাহ ও বিজয়ের জুটি হলেও তখন বাজে শটে ক্যাচ আউট হয়ে যায় এবং মাঠে ব্যাট করতে আশে মো: আফিফ। কিছু সময় না জেতেই মিস টাইমিং শটে বোল্ড হয মাহমুদুল্লাহ আর এভাবেই ধারাবাহিক উইকেট পতনের ফাকে আফিফের অসাধারণ ব্যাটিং বাংলাদেশ দলকে ২৫৬ রানে নিয়ে যায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে। আর আফিফ অপরাজিত থাকে ৮১ বলে ৮৫ রানে।
অন্য দিকে ২৫৭ রানের টার্গেট পূরণের জন্য জিম্বাবুয়ে দল ব্যাটিং করতে নামার পরে তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হোলো বাংলাদেশের বোলিং আগ্রাসনের তান্ডব কেমন হতে পাড়ে তা একটি নিয়ন্ত্রিত নমুনা। যেখানে দেখা যায় জিম্বাবুযে দল ৫ রানে ১ম উইকেট ,৭ রানে ২য় উইকেট, ১৮ রানে ৩য় ও ৪র্থ উইকেটের ধারাবাহিক দৃশ্য এবং সেই সাথে জিম্বাবুয়ে দলের সবচেয়ে আক্রমনাত্মক ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজাকেও ১ বলের বেশি ক্রীজে থাকতে দেয়নি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আমাদের ক্রিকেট দল কী করতে পাড়ে তার চমৎকার দৃশ্যের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে জিম্বাবুয়ে দলকে ৩২ ওভার ২ বলে অলআউট করে ১০৫ রানের বিশাল জয় পায় । শুভকমনা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।
তবুও দুঃখের সাথে বলতে হয়, জিম্বাবুয়ে দলের কাছে পর পর টি ২০ সিরিজ ও ওয়ানডে সিরিজের পরাজয় থেকে বাংলাদেশ দলের যথেষ্ঠ শিক্ষার ঘাটতি আছে বলে মনে হয়। আর এই শিক্ষার বেশির ভাগটাই হোলো মানসিক শক্তি ও মনোবল অর্জনের শিক্ষা। যেমন একটা কমন শিক্ষা ক্রিকেট দলের সফল হওয়ার জন্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর তা হোলো – ব্যাটিং , বলিং এবং ফিল্ডিং নৈপূণ্য এই তিন মাধ্যমের সঠিক সমন্বয়ে ক্রিকেট দল সবচেয়ে বেশি সফলতা পায়। বাংলাদেশ দল ১ম ও ২য় ম্যাচে মোটামুটি ভালো রান করলেও তাদের বলিং এবং ফিল্ডিং যথেষ্ঠ অনিয়ন্ত্রিত ও খারাপ হওয়ায় খুব সহজেই জিম্বাবুয়ে দল জয় পায়। কিন্তু ৩য় ম্যাচে বাংলাদেশ দল মোটামুটি রান করলেও নিয়ন্ত্রিত আক্রমনাত্মক বলিং এবং ভালো ফিল্ডিং করার ফলে বিশান রান ব্যবধানে জিম্বাবুয়ে দলকে হারাতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ দলের জন্য বলতে হয়, আমাদের ভালো ব্যাটসম্যান, দুর্দান্ত আক্রমনাত্মক বোলার রয়েছে এবং সবাই মোটামুটি ভালো ফিল্ডিং করার মতো সক্ষমও বটে। তাই আমাদের কষ্ট করে এই তিন ধরনের মেধাকে একসাথে মাঠে কাজে লাগানোর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অন্য সব ভালো দলের চেয়েও ভালো খেলতে পাড়বে।
ধন্যবাদ।