
SOURCE
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। গতকালের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ের সাথে হার একটি বড় শিক্ষা বলা যায়। বাংলাদেশ দল প্রথমে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে সংগ্রহ করেছিলো ৩০৩ রান। আর ৩০৩ রানের স্কোর করার ফলে যে বাংলাদেশ দলের চর্বি জমেছে তা বলিং ও ফিল্ডিং এর সময় সুন্দভাবে বুঝা যাচ্ছিলো। আর এই ৩০৩ রানের জবাব সরূপ একটা দুর্দান্ত চমৎকার ব্যাটিং উপহার দিয়ে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৭ রান করে জয়ের মাধ্যমে খেলা শেষ করে।
একটু বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, জিম্বাবুয়ে দল টসে জিতে এবং নিজেদের দলের উপর আত্মবিশ্বাস থাকায় বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিং করার সুযোগ করে দেয়। আর সেই সুবাদে বাংলাদেশ দলকেও মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী বলে মনে হচ্ছিলো। আমাদের নাম করা ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ১১৯ রানের একটা ওপেনিং পার্টনারশ্বীপ বাংলাদেশ দলকে একটা বড় স্কোর দাড়া করানোর মতো শক্তির যোগান দিয়েছিলো। তবে ৮৭ বলে ৬২ রান করে তামিম ইকবাল আউট হলেও রানের ধারাবাহিকতায় লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়ও সুন্দর ব্যাটিং করছিলো। তবে দুঃখজনকভাবে লিটন দাস পায়ের ব্যাথার জন্য আউট না হয়েও তাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিলো ৮৮ বলে ৮০ রান করেই। অবশ্য রানের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে বিজয়ের সাথে ব্যাট করতে নেমেছিলো আমাদের মিঃ ডিপেন্ডেবল ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। একই সাথে ৬২ বলে ৭৩ রানের ম্যাচ উপহার দিয়ে আউট হলো বিজয়। আর তখন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মুশফিকুর রহিমের সাথে ব্যাট করতে নামে এবং মুশফিকুরের ৫২ রানের সুবাদে আমাদের দল ৫০ ওভার শেষ করে ৩০৩ রান সংগ্রহ করেছিলো মাত্র ২ উইকেটের বিনিময়ে। আর এই রান স্কোর দেখে বাংলাদেশ দলের মতো আমরাও ভেবেছিলাম জিম্বাবুয়ে দলের জন্য এই রান তাড়া করে জয় অনেক কঠিন হবে।

SOURCE
কিন্তু সকল ভাবনা চিন্তা উল্টে দেবার মতো খেলা দেখানোর জন্য ৩০৩ রানের জবাব দিতে ব্যাটিং এ নামে জিম্বাবুয়ে দল। প্রথমে খুব দ্রত ৩ উইকেট হারালেও কাইয়া ও সিকান্দার রাজার দুইটা অসাধারণ সেঞ্চুরি বাংলাদেশ হারানোর মতো রানের কাছে নিয়ে আসে জিম্বাবুয়ে দলকে। সিকান্দার রাজা যেনো জিম্বাবুয়ের জন্য সত্যিকারের রাজা হয়ে মাঠে খেলেছে আমার কাছে তাই মনে হলো। সিকান্দার রাজা ১০৯ বলে ১৩৫ রানে অপরাজিতো থেকে নির্দিষ্ট ৫০ ওভারের ১০ বল বাকি থাকতেই ৩০৭ রনের করে জয় ছিনিয়ে নেয় অত্যন্ত সন্দরভাবে।
জিম্বাবুয়ে দলের যেখানে ৩০৪ রান করতে কষ্ট হবার কথা , সেখানে বাংলাদেশ দলের বাজে ফিল্ডিং ও অনিয়ন্ত্রিত বলিং জিম্বাবুয়ে দলকে জয় পেতে যথেষ্ঠ সাহায্য করেছিলো। বাংলাদেশ দল একই সাথে ব্যাটিং, বলিং ও ফিল্ডিং নৈপুণ্য দেখাতে না পাড়লে আমাদের এভাবে আরও অনেক পরাজয়কে দেখতে হবে। আর তাই সকল রকম সমস্যাকে সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও ভালো খেলতে হবে এবং তাড়া পাড়বে আশা রেখে এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ..