
SOURCE
সবার ভালো থাকা প্রত্যাশায় আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে কিছু জানাবো। আমার জীবনের সবচেয়ে আমি পাড় করেছি ক্রিকেটকে ভালোবেসে ক্রিকেটের সাথে। আর তাই বাংলাদেশ ক্রিকেটকেও ভালোবাশি মনের অন্তরস্থল থেকে। আমার আজও মনে পড়ে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাওয়ার কথা ও সেই সময়ের খেলার কথা। আরও বেশি মনে পড়ে সেই ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের কথা। সে সময়ের তরুণ মেধাবী উদীয়মান ব্যাটসম্যান মেহরাব হোসেন অপি ছিলো তখনকার পছন্দের খেলোয়াড় ও পছন্দের বোলার ছিলো বাম হাতী পেসার মুঞ্জরুল ইসলাম ভাই। চমৎকার ছিলো সেই দিনগুলো। আর তাই নিজেও বুনে ছিলাম ক্রিকেটের অপূরণীয় কিছু স্বপ্ন...! শ্রদ্ধা জানাই সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুরবুল, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাঈমুর রহমান দূর্জয়, এনামুল হক মনি, মোহাম্মদ রফিক, হাবিবুল বাশার, জাবেদ অমর বেলীন, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু সহ সকল সাবেক ক্রিকেটারদের প্রতি।
আর তাদের ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশের ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধ, গতিশীল ও ফলসরূপ করার প্রক্রিয়া বর্তমানেও চলমান রয়েছে। আরও মনে পড়ে অতীতের আরও একটি সুন্দর সময়ের কথা, যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট খুঁজে পেলো তামিম ইকবাল, আশরাফুল, আফতাব আহমেদ, অলোক কপালি ও মাশরাফি ভাইদের মতো তরুণ উদীয়মান মধোবী ও আগ্রাসী স্পেশাল কিছু খেলোয়াড়। তারা ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ও দেশের ক্রিকেটের সত্যিকারের অমুল্যবান সম্পদ। তবে দুঃখের বিষয় হোলো তখন থেকেই শুরু হয়, আমাদের দেশের ক্রিকেটীয় সম্পদ ধ্বংস করার কিছু বিকৃত কৌশল, যার মাধ্যমে সেই বিকৃত স্বার্থপর গোষ্টী সফল হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আবারও বিভিন্নভাবে পিছিয়ে দিতে। কথাগুলো বলতে আমার নিজেরই কষ্ট হয়, আর যারা আজও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আগের মতোই ভালোবাসে তাদের আরও বেশি কষ্ঠ হওয়াটাই স্বাভাবিক। জাতিগত ভাবেই আমরা অস্বাভাবিকভাবে বেশি আবেগপ্রবণ। তবে বাস্তবতা কতোটা নির্মম তা সত্যিই জানা জুরুরি।

SOURCE
আমাদের ক্রিকেট দল আবারও বহু কষ্টে গুড়ে দাঁড়াতে শুরু করলো ক্যাপ্টন মাশরাফি, সাকিব আল হাসান, মুসফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল সহ অসাধারণ প্রতিভাবান তরুন খেলোয়াড়দের নিয়ে। সত্যিই তখন আমাদের দেশের ক্রিকেট আবারও গৌরবময় দিনে ফেরার মতো দৃষ্টান্ত পৃথিবীব্যাপী উপস্থাপন করতে শুরু করে। আর সেই ধারাবাহিকতা ক্যাপ্টেন মাশরাফি জাতীয় ক্রিকেটে থাকা পর্যন্তই ছিলো। আবারও আমাদের দেশের ক্রিকেট তার নিজস্ব ধারাবাহিকতা হাড়িয়ে ফেলল।
শুরু হোলো এক নতুন ধারা আমাদের ক্রিকেটে, আর তা হোলো পরিবর্তন আর পরিবর্তন এটাই যেনো এক চমৎকার খেলা। আর এই পরিবর্তন পরিবর্তন খেলা আজও ধারাবাহিকভাবে বর্তমান সক্রিয়ভাবে। আর তাই বর্তমান ক্রিকেট ও তার পরিচালনা বোর্ড নিয়ে কথা বলার নুণ্যতম রুচিও নেই। আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট একটা সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েও বুঝতে পড়েনাকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে বলে সুন্দরভাবে ভবিষ্যতের দিকে চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা উদাহরণ দেই, “ আমি বা আমরা একটা উচ্চ ফলনশীল ভালো জাতের চারাগাছ খঁজে এনে মাটিকে উপযুক্ত ও উর্বর করে ফলের গাছটি লাগালাম, তারপর সেই গাছটির আর সঠিকভাবে পরিচর্যা, যত্ন, উচ্চ ফলন পাওয়ার মতো রক্ষনাবেক্ষন কিছুই করলাম না। ফল দেয়ার সময় দেখলাম গাছটিতে তেমন ফল পেলাম না, তাই গাছটি ভালোনা বলে কেটে ফেলে দিলাম।” আর এভাবে আমরা যতো ভালো ফলের গাছ লাগাইনা কেনো ফলাফল একই পাবো বুঝতে পেড়েও বুঝলাম না। এমনটাই হচ্ছে গল্পের মতো ভালোবাসার ক্রিকেটে।
আমাদের বাংলাদেশে আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক মেধাবী ক্রিকেটার আছে ও ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবে । তবে আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের মেধা ও প্রতিভাগুলোকে কাজে রুপান্তরীত করার মতো একটা মানুষ নাই আমার জানা ও বুঝা মতে। আর তাই আমাদের মধোবী তরুণদের নিয়ে জোকস না করে সঠিক সমস্যাগুলো কঠোরভাবে দুর করে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করা উচিত। সবাই ভালো থাকবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটও মন থেকে ভালোবেসে তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড়দের সম্মান করবেন। দেখবেন ইনশাআল্লাহ আমাদের ক্রিকেট বহুদূর এগিয়ে যাবে।