মা ছাড়া একদিন
মা কাল থেকে বাড়িতে নেই। বড় ভাইয়ের সাথে ঢাকায় গিয়েছে আমাদের এক আত্মীয়দের বাড়ি ডাক্তার দেখাবার জন্য। তবে কাল বাড়ি থেকে যাবার আগেই আমার আর বাবার জন্য তরকারি হিসেবে গরুর মাংস, মাছ রান্না করে রেখে গিয়েছে। যাতে করে আমরা ২-১ দিন রান্না করে খেতে পারি। কাল আমরা খুব অনায়াসেই পার করে দিয়েছিলাম। তবে কিছুটা ঝামেলা শুরু হলো আজ। সকালে উঠে অগোছালো ঘর। একেক জিনিস একেক জাইগায় যেন এক বাজে অবস্থা। এগুলো গোছানো তাছাড়া টুক টাক কাজের তো অভাব নেই। সব মিলিয়ে ঘর গোছানো শেষে এলো সকালের খাবারের পালা। এতে খুব একটা ঝামেলা হলো না। একটা ডিম ভেজে কোন রকম দুটো রুটি খেয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এরপর বেশ কিছু সময় রেস্ট নেবার পর বাবা বল্লো খাবার দাবার রান্না কর। আজ শুক্রবার আবার নামাজে যেতে হবে। আমি আর দেরি না করে দুইজনের জন্য ভাত বসিয়ে দিলাম। আমি আবার রান্না-বান্না টুক টাক ভালই পারি তাই আমাদের দুজনের পরিমাণের চাল ভালভালো ধুয়ে নিয়ে বসিয়ে দিলাম। আমাদের বাড়িতে আবার কেউই ভাতের মার গেলে ভাত খায় না। এভাবে ভাতের স্বাদ কমে যায় বলে মনে করি আমরা। আর এমনিতে ঝামেলা বটে। তাই পানির পরিমাণ মেপে ভাত রান্না করে ফেল্লাম ও ফ্রিজে রাখা মাংস গুলো গরম করে ফেললাম।
![]() | ![]() |
---|
খাবার মোটামুটি তৈরি। তবে শুধু মাংস দিয়ে খাবার খেতে মন চাইলো না। তাই দুটো আলু সিদ্ধ দিয়ে দিলাম ও কিছু কাচা মরিচ ও পেয়াজ কেটে নিলাম। এরপর আলুগুলো নামিয়ে নিলাম ও একটা ফ্রাই প্যনে সরিশার তেল নিয়ে নিলাম। তেল গুলো গরম হলে এর ভেতর পেয়াজ মরিচ গুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম। তারপর ওই পাত্রতেই আমি আলুগুলো দিয়ে একটা গ্লাস দিয়ে ভালো করে ভর্তা করে নিলাম। যাতে স্বাদ টা বেশি পাওয়া যায়।
![]() | ![]() |
---|
সবকিছু শেষে খাবার খেয়ে সুয়ে পরলাম। আর ভাবতে লাগলাম আসলেই মা ছাড়া জীবন টা অনেক কঠিন। কত কষ্টই না করে প্রতিদিন। আমাদের দিনটা প্রতিদিন সহজ করে তোলে আমাদের মা। আজ এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আশা করি আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে।
ধন্যবাদ।