আমার ছাদ ভ্রমণ ও আমার ছাদের নতুন গাছের কালেকশন।
২০২১
আসসালামু আলাইকুম আসা করি সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। বাংলাদেশে লকডাউন খুব কঠোর ভাবে দিয়ে দেবার কারনে বাহিরে বের হওয়া ও চলাফেরা করা খুব সহজ নয়। তবুও কাল একটু বাহিরে বের হয়েছিলাম কিছু গাছের চারা ও মাটি কিনতে আমাদের বাড়ির ছাদের বাগানের জন্য। আপনারা যদি আমার নিয়মিত ব্লগ পোস্ট পড়ে থাকেন তাহলে আমার আগের কিছু ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে জেনে থাকবেন যে আমি ছাদে বাগান করি ও আমার ছাদে বেশ কিছু গাছ আছে। তবে কাল আমি আরও কিছু গাছ আমার ছাদের জন্য নিয়ে এসেছি আজ এই গাছগুলো ও আমার পুরো ছাদের বাগান নিয়েই আজ আলোচনা করব ও আপনাদের সবাইকে আমার ছাদের বাগান ঘুরে দেখানোর চেষ্টা করব। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
![]() | ![]() |
---|
নতুন করে কিনে আনা গাছঃ
কাল সকালেই খাওয়া দাওয়া করার পর আমি আর আমার বড় ভাই নার্সারিতে রওনা দিয়েছিলাম গাছ কিনবার জন্য। তো নার্সারির আশে পাশে কোন ভ্যান না থাকার কারণে আমরা আগে থেকেই একটা ভ্যান ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিলাম নার্সারিতে যাতে করে গাছ কিনে আনার সময় বাসায় নিয়ে আনতে সমস্যা না হয়। এরপর নার্সারিতে গিয়ে আমদের পছন্দমতো গাছের চারা বাছাই করলাম ও সার মেশানো মাটি ও সার কিনে নিয়ে এলাম। আমারা ৫টি ড্রাগন ফলের গাছ, ১টি শরিফা ফলের গাছ,১টি লাল পেয়ারা গাছ, ১টি ফলসহ বড় মাল্টা গাছ ও ১টি বেলি ফুলের গাছ কিনে নিয়ে এলাম।
![]() | ![]() |
---|
নতুন গাছগুলোর সম্পর্কে কিছু কথাঃ
নতুন করে কেনা গাছগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হলো ড্রাগন ফলের গাছ। বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে করে চাষ করা একটি অন্যধরনের একটি ফল। এটি বাংলাদেশে এখন প্রচুর পরিমানে চাষ হচ্ছে এবং এই ফলের চাহিদাও অনেক সাথে বাজারে দাম টাও অনেক। ফলটা দেখতেও অনেক সুন্দর খেতেও অনেক ভালো। এছাড়াও রয়েছে অনেকগুলো রোগের প্রতিষোধক। তবে ফল পেতে প্রায় ২০ মাসের মতো অপেক্ষা করতে হয় এটাই এই ফলেও একমাত্র সমস্যা বলে আমি মনে করি। তবে ভালো জিনিস পাওয়ার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হয়। তাই আমিও আমার ছাদের সুন্দরতা বৃদ্ধি করার জন্য ড্রাগন ফলের গাছ নিয়ে আসলাম।
আমি আরও যেসব গাছ নিয়ে এসেছি তার মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের গাছ হলো মাল্টা গাছ। এই ফলটাও আমার অনেক প্রিয় একটা ফল। এটাতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। আমার কেনে গাছটাতে প্রায় ২০টার ওপরে ফল ধরে আছে যা আর কিছুদিনের মধ্যেই পেকে যাবে ও খাবার উপযোগী হবে। এছাড়াও ছিল একটা লাল পেয়ারার গাছ। যে পেয়ারার ভেতর ও বাহির উভয় পাশেয় লাল রঙের হয়ে থাকে৷ এই জাতের পেয়ারা গাছ আমার আগেও ছিল তবে বাড়ি করার জন্য কেটে ফেলা হয়েছিল তবে আবার কিনে আনলাম এবার ছাদে লাগানোর জন্য এর সাথে নিয়ে এসেছি শরিফা গাছের চারা। এই ফলটাও অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। তবে দেখা যাক কতো দিনের পর এই গাছে ফল ধরে। এবারের গাছের মধ্যে সবই বলতে গেলে ফলের গাছ তবে একটি মাত্র ফুলের গাছ নিয়ে এসেছি সেটি হলো বেঁলি ফুলের গাছ । এটা আমার মায়ের পছন্দের একটি ফুল গাছ। এই ফুলগাছের ফুল গুলো রাতে সুঘ্রাণ ছড়ায়। যা কিনা আমার মায়ের সবচেয়ে পছন্দের ঘ্রান।
![]() | ![]() |
---|
পুরোনো গাছের কালেকশনঃ
![]() ![]() | ![]() |
---|
পুরোনো গাছের মধ্যেও অনেক ধরনের গাছের কালেকশন আছে আমার কাছে। আমি আগেও কয়েকটি ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের আমার ছাদের চাইনা কমলা, বিভিন্ন ধরনের আম, বিভিন্ন ধরনের ফুল ও অনেক ধরনের শাক-সবজি আমার ছাদের বাগানে দেখিয়েছি। এছাড়াও আমার বাগানে আর যেসব গাছ গাছ আছে সেগুলো হলো থাই ছবেদা, কালো মরিচ,লেটুছ পাতা, লিচু গাছ,বিভিন্ন প্রকার ফুল, বিভিন্ন ধরনের ঘাস লতাপাতা ও সৌখীন গাছ। এগুলোর সম্পকে সামনে আরো ভালো করে লিখার চেষ্টা করব ও আপনাদের এগুলোর সাথে ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দেবার চেষ্টা করব। আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন বাসায় থাকবেন।
সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
@troublemakerrr