প্রিয়,
পাঠকগণ,
কেমন কাটলো আজ হোলির দিনটা আপনাদের?
আশাকরি নিশ্চয় ভালো কেটেছে।
আসলে দোলের আনন্দ যতটা, তার থেকে কোনো অংশেই হোলির আনন্দ কম নয়।যদিও হোলি বাঙালিদের উৎসব নয়, তবুও অবাঙালিদের সাথে সাথে আমরাও এমন ভাবে হোলির উৎসব পালন করি, যেন সেটাও আমাদেরই উৎসব। এইজন্যই কথায় আছে "বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ"।
আর শুধু হোলি কেন,আজকাল এমন অনেক অনুষ্ঠান আছে যেগুলো অবাঙালিদের মতনই আমাদের জীবনের উৎসবেও সামিল হয়ে গেছে। এখন দেখবেন প্রায় সকলেই বিয়ের আগে মেহেন্দীর অনুষ্ঠান করে, আলাদা করে সঙ্গীত অনুষ্ঠান করে। বিয়ের পর অনেকই স্বামীর মঙ্গলের জন্য কর্বাচওত এর ব্রত করে। আগে তো দেখতাম শুধু শিবরাত্রি করতো।খ্রিস্টানদের মতই ক্রিসমাস সেলিব্রেট করে, এমন আর কত কি।
ঠিক এমনি ভাবেই হোলি ও আমাদের জীবনে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িয়ে গেছে।২ বছর আগে দোলের দিন আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম সবাই মিলে। আমি, শুভ, মামা, মামী, বোন। দারুণ মজা করেছিলাম সবাই। আমার কাকুও এসেছিল, কাকুর কথা পরে একদিন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। রং দিয়ে ভুত করেছিলাম কাকুকে, মামাকে আর মামীকে। এই বছর আর কিছুই হলো না। আসলে বাবা একা থাকে তাই সবাই গেলে তার ভালোই লাগে, সবসময় যাওয়া সম্ভব নয়, তাই চেষ্টা করি যদি কোনো অনুষ্ঠানের সময় যাওয়া যায়, তাহলে অন্তত বাবার একটু বেশি ভালো লাগবে।
এমনকি লাস্ট বার হোলিতে অফিসের সবাই মিলে অফিস ছুটির পড় গেটের বাইরে বেরিয়ে আবীর খেলেছিলাম। দারুণ মজা হয়েছিল। আর তার কয়েকদিন বাদেই শুরু হলো লকডাউন। কে জানতো সবার জীবন এই ভাবে পাল্টে যাবে। আমার অফিস কলিগদের মধ্যে অনেকের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে, তবুও স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে মনের ভেতরে সারাজীবনের জন্য। ওরা যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক এই প্রার্থনা করি।
আজকে আমার পুরোনো স্মৃতি গুলো শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে, আসলে যত বড়ো হচ্ছি ততই যেন বুঝতে পারছি জীবনে হয়তো ভালোসময় মন্দসময় পরিবর্তিত হতে থাকে, তবে যা কোনোদিন পরিবর্তন হয় না তা হলো স্মৃতি। যা একান্তই ব্যক্তিগত, যার উপর আর অন্য কারোর কোনো অধিকার নেই। তাই বলছি জীবনে চেষ্টা করবেন ভালো স্মৃতি তৈরী করার।দেখবেন জীবনে কোনো এক মুহুর্তে সেগুলো মনে করে আপনার মুখে অজান্তেই খুশির হাসি ফুটবে।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভরাত্রি