প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আম খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে। যদিও তাদের মধ্যে আমি একজন। আম খেতে আমার খুব একটা ভালো লাগে না। আর পাঁকা আমের থেকে আমার কাঁচা আমের আচার বেশি ভালো লাগে।
গাছের থেকে বাবা পেড়ে দিয়েছিল টক রান্না করার জন্য-
আমাদের বাড়িতে আম সবাই ভালো খায়। শুভ আবার হিমসাগর আম ছাড়া অন্য আম খায় না। তাও খুব বেশি পেঁকে গেলে খায় না। একটু শক্ত শক্ত অবস্থায় টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিলে তবেই খাবে। আর দু একদিন হয়ত মুড়ি দিয়ে মেখে দিলে খায়।
আমাদের বাড়িতে অনেক পুরোনো আম গাছ ছিল। দুটো গাছ কেটেও দিয়েছে বাবা। ছাদে পাতা পরে ছাদ নষ্ট হচ্ছিল তাই। অনেক আম হতো গাছ দুটোয়। এখনও দুটো গাছে আম হয়। আমরা যখন যাই তখন নিজেরা আম পেড়ে খাই। নিজেদের হাতে গাছ থেকে ফল/ফুল পাড়ার মজাই আলাদা।
আবার আগের বছর বাবা দুটো আম গাছ লাগিয়েছিল। যদিও জানতাম না কি জাতের আম গাছ, এবার গিয়ে দেখি গাছে আমের মুকুল এসেছে। আমি তো অবাক! সব গাছে যখন আম বড় হয়ে গেছে, তখন আমাদের গাছে মুকুল কেন?
পরে ঠাকুমা বললো, গাছে শুধু মুকুল নয় আমও হয়েছে।গিয়ে দেখি সত্যিই তাই।দেখে বেশ ভালো লাগলো। ছবিও তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না। আমি আসলে আগে সামনা সামনি এমন গাছ দেখিনি।আম কেমন খেতে হবে জানিনা।তবে দেখতে ভীষণ ভালো লাগলো।
পরের বার গিয়ে এই গাছের আম পেড়ে দেখবো কেমন হয়। ততদিনে মুকুল গুলোও আমে পরিণত হয়ে যাবে। বাবাকে বলেছি এবার একটা গোলাপ খাস আম গাছ লাগাতে। গোলাপ খাস আম গুলোর রং আমার ভীষণ ভালো লাগে, গেছে পেঁকে থাকলে দারুণ লাগে দেখতে।
যাইহোক, ছবি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম দেখে নিশ্চয় ভালো লাগবে। ভালো থাকবেন। সাবধানে থাকবেন।আপনাদের দিনটা অনেক ভালো কাটুক।