ইন্টারভিউ ভয় কে কর জয়
অনেক জায়গায় ইন্টারভিউ দেওয়ার পরেও চাকরিতে ডাকছে না? ইন্টারভিউ বোর্ডে যেয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না ? তাহলে আজকের লেখাটা আপনারই জন্য।
ইন্টারভিউ নিয়ে আমাদের সকলের মধ্যে একধরনের ভিতি কাজ করে থাকে ।এবং এই ভয়ের জন্য আমরা অনেক সময় আমাদের জানা জিনিষ টাও ভুল করে ফেলি।কিন্তু এই ভয়কে আমরা চাইলেই জয় করতে পারি দৃঢ় আত্মবিশ্বাস , একান্ত প্রচেষ্টার দ্বারা। ইন্টারভিউ বোর্ডে ভাল করতে আমরা যদি আগে থেকেই জানি যে কি ধরনের প্রশ্নের মুখমুখি হতে হবে তাহলে আমরা আগে থেকেই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারি । আজ সে সকল বিষয়েই জানাবো আপনাদেরকে।
১। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুনঃ
ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনাকে ইন্টারভিউয়ার আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করতে পারে। কিন্তু তাই বলে আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না। সাহসের সাথে ফেস করতে হবে ইন্টারভিউয়ার কে।অনেক সময় আপনার প্রশ্নোত্তর জানা না থাকতে পারে সেক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে যেমন; উত্তর টা আমার জানা ছিল কিন্তু এখন মনে পড়ছে না,আমতা আমতা করা ইত্যাদি না করে বরং কৌশলে স্যরি অথবা জানা নেই বলুন তাতেই ইন্টারভিউয়ার বুঝতে পারবে যে আপনআর ভিতর সৎ সাহস আছে।
২। নিজের সম্পর্কে বলুনঃ
ইন্টারভিউ বোর্ডে সব থেকে কমন প্রশ্ন হল নিজের সম্পরকে বল। কিন্তু আমরা এই প্রশ্নের উত্তরে বেশির ভাগ নিজের নাম, বাবার না্ম, ফ্যামিলি ইত্যাদি নিয়ে বলতে থাকি। কিন্তু ইন্টারভিউয়ার নিশ্চয় তোমার ফ্যামিলি সম্পর্কে জানতে চাইনি। এক্ষেত্রে তোমার উত্তর টা এমন ভাবে সাজিয়ে বলতে পার প্রথমে নাম , গ্রাজুয়েশান,খুব সংক্ষেপে ফ্যামিলি তারপর তোমার প্রকৃতি সম্পর্কে, তোমার Goal এভাবে বলতে পার।
৩।যে পদের জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন তার কার্যাবলী সম্পরকে বিশদ ধারনাঃ
একটা বিষয় সবসময় মনে রাখবেন যে ঈন্টারভিউ দিতে গেলে আপনাকে অবশ্যয় যে পদের জন্য আপনি ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সে পদের জন্য job responsibility কি সেটা জানা অত্যন্ত জরুরি।আগে থেকেই ইউটিউউব অথবা google থেকে ধারনা নিয়ে তারপর ইন্টারভিউ দিতে যান।
৪।পোশাকঃ
ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পোশাকের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। ছেলেরা চুল এলোমেলো রাখবেন না, শেভ করে যাবেন। কাপড়-চোপড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। পোশাক আপনার রুচিবোধের প্রকাশ ঘটায়। মেয়েরাও মার্জিত পোশাকে যাবেন। ঝাঁজালো গন্ধের বডি স্প্রে বা সেন্ট মাখাবেন না। সকল ক্ষেত্রে রুচিশীল হোন। ফ্রেশার যারা আছেন তারা অনেক সময় ছাত্রদের মত পোশাক পরেই ইন্টারভিউ দিতে চলে যান কিন্তু এটা একদম ঠিক না । মনে রাখবেন ছাত্র জীবন কিন্তু এখন শেষ।
৫। উপস্থিত বুদ্ধি যাচাইঃ
ইদানিং প্রায় দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানি গুলোতে উপস্থিত বুদ্ধি যাচাই করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে বলা হতে পারে যদি এখন আপনাকে এক কোটি টাকা দেয়া হয় আপনি কি করবেন ? বা যে কোন ধরনের ধাধাও ধরতে পারে । সেক্ষেত্রে আপনাকে সব থেকে যেটা বেশি উপযোগি আপনি সেটাই বলবেন।
৬।পার্সোনালিটি টেস্টঃ
ইন্টারভিউ বোর্ডে পার্সোনালিটি টেস্ট এ বিষয় টি এখন খুবই কমন হয়ে গিয়েছে।এক্ষেত্রে এমন টাইপ প্রশ্ন করতে পারে যে, আপনি মানুষ হিসেবে কেমন? আত্মকেন্দ্রিক নাকি মিশুক, আপনি বিপদের সময় সিদ্ধান্ত নেন কিভাবে, আপনি কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন, আপনি একা কাজ করতে ভালবাসেন নাকি একত্রে ইত্যাদি ।এ ই টেস্টের মাধ্যমেই তারা আপনার সম্পর্কে জেনে যাবে যে আপনি কর্মী হিসেবে কেমন হবেন, আপনি লিডার হিসেবে কেমন হবেন, আপনি টিমে কিভবে কাজ করবেন। তাই খুব সাবধানের সাথে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।
৭। আই কন্টাক্ট ও বডি ল্যাংগুয়েজঃ
ইন্টারভিউ বোর্ডে আই কন্টাক্ট ও বডি ল্যাংগুয়েজ এই দুইটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।আপনাকে ইন্টারভিউয়ার এর সাথে আই টু আই কন্টাক্ট করতে হবে, এবং ইন্টারভিউয়ার এর বডি ল্যাংগুয়েজ দেখে বুঝতে হবে যে কোন ধরনের উত্তরে তারা খুশি হচ্ছে বা বিরক্ত হচ্ছে।দেখা যাই যে ইন্টারভিউয়ার একটা প্রশ্ন করল তুমি প্রয়োজনের থেকে বেশি বলছো সেক্ষেত্রে তোমার ইন্টারভিউয়ার এর বডি ল্যাংগুয়েজ দেখে বুঝতে হবে তোমার উত্তরে সে বিরক্ত হচ্ছে কিনা।