
১) লিখিত পরিক্ষা ও ২) মৌখিক পরিক্ষা ।
লিখিত পরিক্ষাঃ
মৌখিক পরিক্ষাঃ
যারা লিখিত পরিক্ষায় উর্ত্তীন হয় তাদেরকে মৌখিক পরিক্ষায় ডাকা হয় । যদি উর্ত্তীন প্রার্থীদের পরিমান বেশি হয় তাহলে ধারাবাহিকভাবে প্রার্থীদের ডাকা হয় ।
কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় ১০ জন প্রার্থীকে ডেকে একটি টিম গঠন তৈরি করা । এরপর তাদেরকে একটি নির্দিস্ট বিষয়ের উপর নিজেদের মতামত ও যুক্তি তর্ক তুলে ধরতে বলা হয় । আবার মাঝে মাঝে টিমকে দুটি দলে ভাগ করে দেওয়া হয় এবং এক দলকে "পক্ষ দল" এবং অন্যদলকে "বিপক্ষ দল" নামে আখ্যায়িত করে বিতর্ক করতে বলা হয় । রিক্রুটাররা এই কার্যক্রম ভালো ভাবে পর্যালোচনা করে । বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সামাজিক ও জাতীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয় ।
মৌখিক পরিক্ষায় মাঝে মাঝে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বক্তিতা দিতে বলা হয়ে থাকে । এক্ষেত্রে বিচারক রিক্রুটার কম্পানি প্রতিনিধি হয়ে থাকেন আবার কোন কোন ক্ষেত্রে অন্যান্য ক্যান্ডিডিয়েটরা মার্ক দিয়ে থাকে।
আপনার স্পিকিং ও রাইটিং দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য একটি পেপারের অংশ অনুবাদ করে বলতে বা লিখতে দেওয়া হতে পারে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আপনাকে টাইপিং করার কথাও বলা হতে পারে ।
প্রায় সকল কম্পানিই উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা যাচাই করে থাকে । তারা নানা ধরনের প্রশ্ন করে থাকে, যেমন ধরুন আপনাকে এখন একটি জঙ্গলে পাঠালে আপনি আপনার সাথে কি নিয়ে যাবেন ? আপনি হয়তো উত্তর দিলেন খাবার নিয়ে যাবো, প্রতিউত্তরে তারা জিজ্ঞাসা করতে পারো তাহলে অন্ধকার হয়ে আসলে কিভাবে চলবেন জঙ্গলে ? এরকম জাতীয় প্রশ্ন হতে পারে । এসকল প্রশ্নের মধ্য দিয়ে তারা আপনার পারসোনালিটি ও মুল্যবোধ্যের সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবে ।
অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়া করে ভুল রেফারেন্স দিয়ে থাকি । কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন বড় বড় কম্পানি গুলো প্রার্থী নিয়োগের ক্ষেত্রে তার সিভিতে দেওয়া রেফারেন্স গুলা চেক করে থাকে । তাই সিভিতে যাদের রেফারেন্স রেখেছেন তাদেরকে অবশ্যই আপনার সম্পর্কে পজিটিভ ধারনা থাকতে হবে ।