সেই টাইমপাস করা মেয়েটা হয়ত চুপিচুপি অন্যকোনো আইডি থেকে এই মুহূর্তে আমার এই স্ট্যাটাসটা পড়ছে। পড়তে পড়তে হয়ত সে রেগেমেগে লাল হয়ে যাচ্ছে। কারণ শুরু থেকেই তার নামে আমি একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আসছি। সত্যিটা হলো, মেয়েটা কখনোই আমার সাথে টাইমপাস করেনি। টাইমপাস করেছিলাম বরং আমি নিজে। মেয়েটা আমাকে ভালোবাসতো। বড্ড বেশি ভালোবাসতো। যাকে একবার সত্যি সত্যি ভালোবাসা যায়, তাকে চাইলেও ঘৃণা করা যায় না। আর তাই হয়ত, মেয়েটা রেগে গেলেও আমাকে ঘৃণা করতে পারছে না। চুপিচুপি প্রতিটা দিন অন্তত একবার করে হলেও চোখ রাখছে আমার আইডিতে!
.
মেয়েটা এখন তার নতুন সংসার নিয়ে ব্যস্ত। সে এখন তার স্বামীর ঘরে আছে। এই মুহূর্তে তার রেগে যাওয়া মুখটা দেখে হয়ত তার স্বামী মুগ্ধ হচ্ছে। তার স্বামী হয়ত মেয়েটার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করছে। মেয়েটাকে ভালোবাসতে চাচ্ছে। মেয়েটা এভাবেই ভালোবাসা পেতে থাকুক বাকিটা জীবন। সত্যিকারের ভালোবাসা। একরাশ বিশুদ্ধ ভালোবাসা।
.
.
আচ্ছা, আমি কি সত্যিই মেয়েটার সাথে টাইমপাস করেছিলাম?
তাহলে মাঝরাতে কখনো ঘুম ভেঙে গেলে মেয়েটার কথা মনে পড়ে বুকের বামপাশটায় চিনচিনে ব্যথা হয় কেন আমার? কল্পনায় তার নিষ্পাপ মায়াবী মুখটা ভেসে ওঠে কেন বার বার??
আমাদের জীবনে সব উত্তরের প্রশ্ন হয়, কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর হয় না!