করিম সাহেবের প্লান অবশেষে সাকসেসফুল হয়েছে,স্ত্রীকে আর সহ্য হচ্ছিল না তাই খুন করে লাশটা গুম করেছেন এই তিনদিন হল। এমন জায়গায়,যে কারুর বাপের সাধ্যি নেই তা খুঁজে বের করে। স্ত্রীর বিরূদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করতেন শুরু থেকেই বন্ধু-বান্ধব আর প্রতিবেশীদের কাছে,তাই সে কারুর সাথে যে পালিয়ে গেছে,একথাটাও চারিদিকে সহজেই প্রচার করতে পারা গেছে।উপরি হিসেবে সবার সহানুভূতিও পেয়েছেন কিছু। সমস্যা হবে ভেবেছিলেন তার তিন বছরের অবুঝ শিশুকে নিয়ে। তাকে কি কাহিনী বলে বুঝাবেন,বুঝতে পারছিলেন না। কিন্তু তিনদিন হয়ে যাওয়ার পরও বাচ্চাটা মা কই,মায়ের কাছে যাব বলে কান্নাকাটি না করাতে নাস্তার টেবিলে তিনি জিজ্ঞেস করেই বসলেন,কি বাবু,মা'কে দেখার জন্য মন কেমন করছে না? বাচ্চাটা অবাক হয়ে বলল, মা তো সামনেই আছে,আমার খাওয়া দেখছে এখন বসে বসে। কিন্তু বাবা,মা এই তিনদিন ধরে তোমার কাঁধে বসে আছে কেন, গলার দু'দিকে পা ঝুলিয়ে? তোমার ঘাড় ব্যাথা করছে না? আতঙ্কিত করিম সাহেব অবশেষে তার ঘাড় ব্যাথার আসল কারণ আবিষ্কার করতে পেরে থ' হয়ে গেলেন....