স্কিল ডেভেলপমেন্টের আজকের পোস্টে আমি আলোচনা করবো কীভাবে ইন্টারনেটে চাকরীর সন্ধান করা যায় । এই বিষয়ে আলোকপাত করার আগে আমি একটি ছোট্ট গল্প বলতে চাই। গল্পটি হচ্ছে দুজন বন্ধু নিয়ে একজন স্যাম এবং অন্যজন জন্স । স্যাম এবং জন্স রুমমেট এবং খুব ভালো বন্ধু। স্যাম সারাদিন পড়াশুনার মধ্য দিয়ে দিন কাটায় অপর দিকে জন্স পড়াশুনায় ভালো না হলেও খুব মিশুক। সে সারাদিন তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয় এবং মিলে মিশে কাজ করতে খুব পছন্দ করে। জন্স যখন থার্ড ইয়ারে পরে তখন সে বিভিন্ন জায়গায় চাকরীর খোজ নেওয়া শুরু করে , এসময় তার অনেক বন্ধুই তাকে তিরস্কার করে। কিন্তু তাদের তিরস্কার তাকে থামাতে পারে না। সে তার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। অতঃপর গ্রাজুয়েট শেষে স্যাম ব্যাপক চিন্তায় পড়ে গেল। কিভাবে সিভি বানাবো, কিভাবে আবেদন করবো, কোথাও তো কেউ চেনা-জানা নেই। স্যাম আরো হতাশ হলো তখন যখন সে দেখলো তার থেকে খারাপ রেজাল্ট নিয়েও জন্স একটি মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানীতে জব পেয়েছে। যাকে সবাই তিরস্কার করতো সেই সবার আগে একটা ভালো কম্পানিতে চাকরি পেল, এ দেখে সবাই হতবাক। এখানে ভাববার বিষয় হচ্ছে কি এমন করেছিল জন্স ? কেন খারাপ রেজাল্ট নিয়েও সে ভালো একটি কম্পানি চাকরি পেল ? এখন আমরা সেই সব মূল মন্ত্র নিয়েই কথা বলবো ।
জন্স পড়াশুনায় খারাপ থাকলেও সে বাজে সময় কাটাতো না। সে তার সময় ফেসবুকে ব্যায় করলেও সে সময়টাতে সে চাকরীর সন্ধান সহ নানা ধরনের এক্টিভিটির সাথে জড়িত ছিল। তাই অর্ডিনারি থেকে এক্সট্রা অর্ডিনারি হয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। যে সময়টা স্যাম গেম খেলে বা ঘুমিয়ে কাটিয়েছে সেই সময়টা জন্স বাইরে চাকুরি খুজে কাটিয়েছে , আর সেই কারনেই সাফল্যটা জন্স পেয়েছে । জন্স তেমন এক্সট্রা কষ্ট করে নাই সে ফেসবুকে “Career, Job, Professional, Training, HR" এই কিওয়ার্ড গুলো সার্চ দিয়েছে এবং যত গুলা গ্রুপ পেয়েছে সব গুলোয় জয়েন করেছে এবং সেই গ্রুপ গুলো থেকে শিখেছে কীভাবে ক্যরিয়ার প্লানিং করতে হয়, কীভাবে পুরনাঙ্গ সিভি বানাতে হয় ইত্যাদি । তাছাড়া এসব গ্রুপের এডমিন বা ইউজাররা সবসময় নতুন নতুন জব সার্কুলার পোস্ট দিয়ে থাকে, যার ফলে জব খুজে পেতে আরো একঢাপ এগিয়ে যাবে তুমি ।