আমরা ক্লাসে অনেকসময় লেকচারারের কথা গুলো নোট করতে গিয়ে পিছিয়ে পরি আমাদের ধীর গতির হাতের লেখার কারনে। যার কারনে অন্যদের সহযোগিতা নিয়ে সেগুলো নোট করতে হয়। আবার অনেক সময় পরীক্ষার হলে প্রশ্ন কমন আসলেও সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না যার মুল কারন হচ্ছে ধীরগতির হাতের লেখা।তাই আজ আমি আমার এই পোস্টে লেখার গতি বাড়ানোর কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো ।
আমরা অনেকেই লেখার সময় লেখার ফ্রন্টটা বড় করে লেখি, যেটা পরবর্তিতে অভ্যাসে পরিনত হয় । কিন্তু এই বড় করে লেখাটাই যে আমাদের সময় বেশি অপচয় করে সেটি আমরা লক্ষ্য করি না। আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে কিভাবে এটি সময় নষ্ট করে ? আপনি একটি কাগজ নিন তার এক পাশে একটি অক্ষর লিখুন এবং আবার ঐ কাগজের অর্ধেক এলাকা নিয়ে ই অক্ষরটাই পুনরায় লিখুন । এবার নিজেই ভেবে দেখুন কোনটায় বেশি সময় নিচ্ছে। অবশ্যই বড় করে লিখলে আমাদের হাতের লেখার গতি কমে যায় এবং এতে সময়েরও বেশ অপচয় হয়। তাই সময় অপচয় রোধ করতে ছোট করে লেখুন।
আমি জানি এসব বলা যতটা সহজ করা ততটা সহজ নয়। তবে আপনার যদি বড় করে লেখার অভ্যাস হয়ে যায় তাহলে সেই অভ্যাস পরিবর্তন করতে ডেইলি প্রাক্টিস করুন। একমাত্র অনুশিলন ই পারবে আপনার অভ্যাস পরিবর্তন করতে । আমরা অনেকেই কলেজ থেকে ছুটি পেলেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই আবার অনেকে ঘরের মধ্যে পরিবারের সাথে অবশর সময় কাটাই। আমরা কিন্তু এই সময়টাকেও কাজে লাগাতে পারি , অবশর সময়ে আমরা ছোট গল্প বা কবয়ীটা অথবা নিজের জীবনের কিছু মুহুরত গুলো ডাইরিতে লিখতে পারি এতে আমাদের লেখার চর্চাও হবে এবং হাতের লেখার গতি দ্রুত করার অনুশিলনও হবে।