কিউরেশন রিওয়ার্ডের পরিমাণ নিয়ে সব ইমাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, পরিমাণ যাই হোক না কেনো ২৫% এর বেশি কখনোই হবে না। এটাই সর্বসম্মত অভিমত।
তবে কিউরেশন রিওয়ার্ড এর কম-বেশি পার্থক্যটা কীসের ভিত্তিতে হয়ে থাকে, তা নিয়ে আহলে বিডি স্টীমিট ইমামগণের দু’জনের মাঝে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আমরা এখানে উভয়ের মতবাদ নিচে সপ্রমাণ উল্লেখ করার প্রয়াস পাচ্ছি।
ইমাম এসএমএন (রহ.) এর মতে পোস্টের মেয়াদের উপর ভিত্তি করে কিউরেশন রিওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অর্থাৎ তিনি বলেন- কম বয়সী পোস্টে আপভোট প্রদান করলে কিউরেশন রিওয়ার্ড কম পাওয়া যায় এবং বয়স্ক পোস্টে আপভোট প্রদান করলে কিউরেশন রিওয়ার্ড বেশি অর্জিত হয়। তিনি প্রমাণ স্বরূপ স্টীমিটের FAQ থেকে নিম্নোক্ত স্ক্রীনশটটি প্রদান করেন। Source
আর অপর দিকে ইমাম মামুন (রহ.) ভিন্নমত পোষণ করে বলেন যে, কম-বেশি কিউরেশনের ভিত্তি হলো- আপভোটকৃত পোস্টের ভ্যালু/ডলারের পরিমাণ। তিনি বলেন- যেই পোস্টে আপনি ভোট দিবেন সেই পোস্টে যদি বেশি পরিমাণ ডলার থাকে, তাহলে আপনি বেশি কিউরেশন রিওয়ার্ড পাবেন এবং কম থাকলে কম পাবেন। উনার মতবাদটা অযৌক্তিক মনে হলেও তিনি তাঁর মতবাদের পক্ষে বাস্তবিক ক্ষেত্রে এর প্রমাণ দেখিয়েছেন। যাকে আমরা শক্ত-পোক্ত দলিলও বলতে পারি।
চিত্র: ১/ক
Source
এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি $1.72 ভ্যালুর আপভোট প্রদান করা হয়েছে @aafrin থেকে।
চিত্র: ১/খ
আর এখানে দেখতে পাচ্ছি ঐ পোস্টের কিউরেশন রিওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে মাত্র ১০ সেন্ট।
চিত্র: ২/ক
Source
এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি $1.65 ভ্যালুর আপভোট প্রদান করা হয়েছে @aafrin থেকে। (যা কিনা ‘চিত্র: ১/ক’ থেকে কম।)
চিত্র: ২/খ
আর এখানে দেখতে পাচ্ছি ঐ পোস্টের কিউরেশন রিওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে ২৭ সেন্ট। (যা কিনা ‘চিত্র: ১/খ’ থেকে দ্বিগুণ থেকেও বেশি।)
অথচ দু’টি পোস্টই কাছাকাছি সময়ে পাবলিশ করা হয়েছিলো এবং উভয় পোস্টে কাছাকাছি সময়ে আপভোট দেওয়া হয়েছিলো।
উভয় পক্ষের বক্তব্যের স্বপক্ষে যেহেতু দলিল রয়েছে। তাই পোস্টদাতা এ বিষয়ে ভীষণ কনফিউজ্ড হয়ে গিয়েছিলেন বিধায় একটু ঘাটাঘাটির পর এ ব্যাপারে আরেকটু বিশদ জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। যার দ্বারা দু’টি বক্তব্যের মাঝে সমন্বয় সাধন করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তা হলো: কিউরেশন রিওয়ার্ড বণ্টন করা হয় ৪টা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।
১. Number of votes before you অর্থাৎ, আপনার পূর্বেই ঐ পোস্টে কয়টি আপভোট প্রদান করা হয়েছে। কারণ, প্রথম ৫ জন ভোটার সব থেকে বেশি রিওয়ার্ড অর্জন করে থাকেন। নিচের ছবি থেকে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
Source
২. Time after publication অর্থাৎ, পোস্ট পাবলিশ করার পর কী পরিমাণ সময় অতিবাহিত হয়েছে। পোস্ট পাবলিশ করার সাথে সাথে যদি কেউ আপভোট দিয়ে দেয়, তাহলে কিউরেটর তথা ভোটদাতা কিছুই পাবেন না, বরং ১০০% কিউরেশন রিওয়ার্ড পেয়ে যাবেন অথর তথা পোস্টদাতা ব্যক্তি। প্রথম ১৮০০ সেকেন্ড তথা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১০০% থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে পোস্টদাতার ভাগ কমতে থাকবে এবং কিউরেটর তথা ভোটদাতার ভাগ বাড়তে থাকবে। ৩০ মিনিট পর ভোট দিলে অথর কিছুই পাবেন না এবং কিউরেটর ১০০% কিউরেশন রিওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। নিচের ছবি থেকে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
Source
৩. Voting power (ভোটিং পাওয়ার)
৪. STEEM POWER (স্টীম পাওয়ার বা এাসপি)
এ ব্যাপারে আপনাদের কাছে আরো কোনো দলিল থাকলে কমেন্টে উল্লেখ করতে পারেন। অথবা কারো এরকম কিছু জানা থাকলে অবশ্যই জানাবেন। কোনো দলিল না থাকলেও আপনাদের মতামত পেশ করতে পারেন। কোনো ভুল হলে জানিয়ে বাধিত করবেন। সংশোধনে সচেষ্ট হবো ইনশাআল্লাহ!
আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন