ভূমিকাঃ
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড । শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না । তাই বাংলাদেশে বাঙালি জাতি হিসেবে উন্নতি করতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই এবং সেই শিক্ষা হতে হবে সুশিক্ষা । করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় পাঁচ মাস ধরে দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে । তবে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে । সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে ক্লাসেগুলোকে রেকর্ড করার মাধ্যমে টেলিভিশনে সম্প্রচারের যাতে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার ট্রেক বা লাইন ধরে রাখতে পারে অর্থাৎ লাইনচূত যাতে না হয়। আজকে আমি অনলাইন ক্লাস এর ক্ষেত্রে কিছু সাধারন ও গুরুত্বপূর্ণ অসুবিধা এবং এগুলো থেকে উত্তরণের কিছু পথ বলে দেয়ার চেস্টা করব ।
অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের মূল সমস্যা হচ্ছে তিনটি
- প্রথমতঃ নেটওয়ার্ক সমস্যা
- দ্বিতীয়তঃ প্রযুক্তি সম্বন্ধে ধারণার অভাব
- তৃতীয়তঃ প্রয়োজনীয় ডিভাইসের অভাব
সমস্যাগুলো বিস্তারিতঃ
বাংলাদেশ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে আমরা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে । যেখানে আমরা ফোরজি প্রযুক্তিতে চলে এসেছি কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখনো থ্রিজি প্রযুক্তি পাওয়াই কষ্টকর । বিশেষ করে যখন অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলা হয় অর্থাৎ অনলাইনে ক্লাশ নেয়া ও অংশগ্রহণ করা তখন প্রযুক্তি ডিভাইস ও সফটওয়্যারের পাশাপাশি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ভালো হওয়া জরুরী । অন্যথায় একপাশের কথা আরেকপাশ থেকে ভালো শুনতে পাওয়া যাবে না তাই শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদান ফলপ্রসূ হবে না । শহরাঞ্চলে ভালো নেটওয়ার্ক সুবিধা থাকলেও গ্রামাঞ্চলে এই নেটওয়ার্কের সমস্যা ব্যাপক । ফলে যারা গ্রামে বাস করে তাদের পক্ষে এসব অনলাইন ক্লাস গুলোতে অংশগ্রহণ করাটা কঠিন হয়ে পড়ে । আবার এই নেটওয়ার্কের রয়েছে বিভিন্ন পিক আওয়ার এবং অফ পিক আওয়ার অর্থাৎ যখন ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি থাকে তখন নেটওয়ার্ক পাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় কারন একটা নির্দিষ্ট ব্যান্ডউইথ সবাই মিলে শেয়ার করা হয় । তাছাড়া গতকালের খবরেই দেখলাম, পটুয়াখালীতে লেন্ডিং স্টেশন এর কাছাকাছি সাবমেরিন কেবলের লাইনের ক্ষতি করে ফেলেছে বালু উত্তোলনকারী লোকেরা আর তাও আবার SEA-ME-WE 5 এর কেবল যা আমরা ব্যবহার করছি বেশি । এরকম কিছু ছোটখাট সমস্যা হবেই নেটওয়ার্ক এর ক্ষেত্রে।
source: Image by Samuel1983 from Pixabay
দ্বিতীয় সমস্যাটি হচ্ছে প্রযুক্তি সম্বন্ধে ভাগ্য ধারণা না থাকা । যেহেতু আমরা ছোটবেলা থেকে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে অনেকেই অভ্যস্ত হয়নি তাই অনেকের পক্ষে নতুন প্রযুক্তিতে খাপ খাওয়ানো কষ্টকর । শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যারা জড়িত বিশেষ করে শিক্ষকরা এবং ছাত্ররা, তারাইতো অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে কিন্তু এরকম বেশ কিছু শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে যারা মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহারের যে বেসিক বিষয়গুলো সেগুলো সম্বন্ধে ধারণা রাখেন না । তাই প্রশিক্ষণবিহীন তাদেরকে এরকম অনলাইন কার্যক্রমের নিয়ে আসাটা সত্যিই দুরূহ ব্যাপার বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে এবং অনেক শিক্ষক রয়েছে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করা দূরে থাক মোবাইল ফোন ভালো ভাবে ব্যবহার করতে অস্বস্তি বোধ করেন ।
তৃতীয় সমস্যাটি আমাদের মতো দেশের জন্য একটি ব্যাপক সমস্যা কারণ আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে যাদের অনেকেরই সংসারের খরচ মেটানোই এই সময়ে কষ্টকর ও বড় চ্যালেঞ্জ । তার উপর অনলাইন কাজের জন্য বিভিন্ন গ্যাজেট যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ইত্যাদি কেনার সামর্থ্য নেই । আবার অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন কিন্তু সেটার ক্যাপাসিটি অত ভালো না যত ভালো ক্যাপাসিটি হলে সহজে ভালো নেট কানেকশন পাওয়া যাবে এবং অনলাইনে কাজ করা যাবে । রানা গলিবয় এর সেই গানের কথা মনে পড়ছে যেখানে সে বলেছিল, শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জলবে, আমাদের যে ঘর নেই সে কথা কে বলবে?
অনলাইন ক্লাসের গুরুত্বঃ
এই সময়ে সবকিছুই মন্থর গতিতে চলছে । উপরোল্লিখিত সমস্যাগুলো খুব ব্যাপক বুঝতেই পারছেন । এরকম তিনটা সমস্যাকে মাথায় রেখে আমরা চাইলেও শতভাগ শিক্ষার্থীকে যুক্ত করতে পারবনা ঠিকই আবার পারবনা সরাসরি ক্লাশ করার মত ফলাফল পেতে । তবে আমরা কিছু না কিছু তো শুরু করতেই পারি কারণ যদি একেবারেই শুরু না করি তাহলে পিছিয়েতো পড়ছিই তার সাথে আরও পিছিয়ে পড়বো । যদি স্বাভাবিক ক্লাসরুমে শতভাগ নলেজ শেয়ারিং হয় তাহলে অনলাইনে যদি এতসব বাধার মধ্যেও ২৫% ফলপ্রসূভাবে নলেজ শেয়ারিং করা যায় সেটাই মন্দ কিসের এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি স্বাভাবিক ভার্সনের অন্তত ৪০% আউটপুট খুব সহজেই পাওয়া যাবে অনলাইন ভার্সনে এতসব বাধার মধ্যেও । সেটাই আমাদের জন্য এই সময়ে একেবারে বসে থাকার চেয়ে অনেক বড় প্রাপ্তি ।
সমস্যা সমাধানের চেস্টাঃ
আমি একে একে তিনটা সমস্যার ছোট ছোট কিছু সমাধান দেয়ার চেষ্টা করব
source: Image by Gino Crescoli from Pixabay
প্রথম সমস্যার জন্য যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা গ্রামে থাকলেও তাদের আশেপাশে অবশ্যই টাওয়ার রয়েছে । যদি শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় তাহলে বাড়ি থেকে ক্লাস সময়ে অন্তত এক কিলোমিটার বা আধা কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে ভালো নেটওয়ার্কের মধ্যে যাওয়াটা কষ্টকর হবে বলে আমি মনে করি না । আমরা দেখেছি শরৎচন্দ্রের গল্প যেখানে তারা ৭/৮ মাইল দূরে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে গিয়ে পড়াশোনা করেছে । এমনকি আমার বাবার কাছে শুনেছি কলাগাছের ভেলায় করে ২ ঘন্টা সময় নিয়ে ভেলায় করে স্কুলে যেতেন । সেই তুলনায় এটা নিশ্চয়ই খুব কষ্টকর কিছু হবেনা । কারণ কিছু না কিছু নেটওয়ার্ক টাওয়ার পাশে অবশ্যই রয়েছে আর সেখানে গেলে ভালো নেটওয়ার্ক অবশ্যই পাওয়া যায় । এই সমস্যার আরেকটি সমাধান হতে পারে এমন যে, কোন এলাকায় একটা নির্দিষ্ট অপারেটরের ব্যবহারকারী বেশি তাই সেখানে অপারেটর পরিবর্তন করে শুধু নেট ব্যবহারের জন্য সিম ব্যবহার করলে সমাধান পাওয়া যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রামে এই পলিসি প্রয়োগ করে সফল হয়েছি ।
দ্বিতীয় ব্যাপারে প্রশিক্ষণ জরুরি কিন্তু এই মুহূর্তে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই আমরা । তাই এখন যেটা করা যেতে পারে তা হল আশেপাশে অনেকেই আছে যারা ভালো স্মার্টফোন চালাতে পারে বা কম্পিউটার সম্বন্ধে ভালো ধারণা রাখে, আমরা তাদের শরণাপন্ন হতে পারি । আমরা অনেকেই হয়তো স্মার্টফোন, অনলাইন ক্লাস সফটওয়্যার জুম কিংবা কম্পিউটারের বেসিক বিষয়গুলো জানিনা কিন্তু এগুলো খুব কঠিন বিষয় নয় । আপনি আশেপাশে এরকম অনেককেই খুঁজে পাবেন যারা এই বিষয়গুলোতে পারদর্শী । তাদের সাহায্য নিলে সহজেই আশা করা যায় এ সমস্যাটা দূর করা যাবে কারণ অনলাইনে ক্লাস নেওয়া কিংবা ক্লাস গ্রহণ করার ব্যাপারটি একটা সফটওয়্যার বা অ্যাপস এর মাধ্যমে সহজেই করে ফেলা যায় । ইন্টারনেট কানেকশন এবং যাবতীয় বিষয় গুলো আপনি আশেপাশে যে কারো কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারবেন কারণ বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এই বিষয়টা ভালো বোঝে।
তৃতীয় ব্যাপারটি একটু জটিল এক্ষেত্রে সঠিক সমাধান পাওয়া সত্যিই দুরহ । এরকম অনেক মানুষ রয়েছে যারা এখন বন্যায় জর্জরিত, বিদেশে প্রবাসীরা চাকুরি হারাচ্ছে, দেশে মানুষ চাকুরি হারাচ্ছে, ব্যবসা একপ্রকার বন্ধ, ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত আরো নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে । যে সমাধান আমি দিবো এটা সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না তবু চেষ্টা করে যেতে হবে । আর তা হল আশেপাশে যারা একটু সচ্ছল রয়েছেন তাদের মোবাইলটা ধার করে আপনি ক্লাসটা করতে পারেন অথবা তাদের টিভিতে গিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন যদিও এটা সত্যি যে সমাধান টা খুবই কঠিন হবে কারণ কেউ কারো মোবাইলটা ২ ঘন্টার জন্য ধার দিবে না অথবা বাসায় এসে বসে টিভি দেখার এক্সেস দিবে না। তবে এটাও ঠিক আপনি যদি ভাল ছাত্র হন, আপনার পড়াশোনার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনাকে অনেকেই সহযোগিতা করবে । সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আপনার আন্তরিকতা । আপনি পড়াশোনা শেখার ব্যাপারে আন্তরিক হোন, তাহলে যে কেউ আপনাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে আশা করি । আর এদেশে দেখি যে, পুরুষ মানুষ না খেয়ে থাকলে মহিলারা খুব ব্যকুল হয়ে পড়েন তাদেরকে খাওয়াতে । ঠিক তেমনি এলাকায় ভাল কিন্তু গরীব কোন শীক্ষার্থীর জন্য অনেকেই এগিয়ে আসেন । পড়তে চায় এমনটা শুনলে একজন কৃষক বা দিনমজুর যার হয়ত নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, সেও চাইবে ধার দেনা করে হলেও ছেলেমেয়ের পড়াশুনাটা উপকরন ব্যবস্থা করতে । কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনি গরীবও আবার পড়াশুনা স্বাভাবিক সময়েই তেমন ভালভাবে করেননি, তাহলে আপনার কপাল আপনার হাতে থাকল।
শেষকথাঃ
আমি আমার আগের পর্বের কিছু ব্লগে কথা বলেছি বারবার যে, যাবতীয় সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র একটা জায়গায় হাত দিলেই সমাধান করা যাবে । আর সেটা হচ্ছে সুশিক্ষা । সুতরাং আমাদের অনুজদের সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই । তাই যে কোন ভাবেই আমরা আমাদের সন্তান, ছোট ভাইবোনদেরকে এ অবস্থায় ফেলে রাখতে পারি না । আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি যাতে তারা পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় । অনলাইন ক্লাশ না করতে পারলেও আমরা যারা বড়রা আছি তারা তাদের পড়াশুনায় সময় দিয়ে সহযোগিতা করি। নিজের আড্ডা, ভার্চুয়াল জগত কমিয়ে পরিবারের ছোটদের, বা আশেপাশের কিছু বাচ্চার পড়াশুনায় সহযোগিতা করি। কারণ ভবিষ্যতে যারা এই দেশের হাল ধরবে তাদের মেরুদন্ড শক্ত হওয়া জরুরী । এতে করেই আমাদের দেশ এবং জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে । কম শিক্ষিত জাতি দিয়ে ভবিষ্যতে আমাদের দেশ বা জাতি কখনোই বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে পারবে না । তাই এখনই প্রয়োজন শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা । আমাদের অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আছে সেটা সমাধান করে অনলাইন ক্লাসের দিকে এগিয়ে যাওয়া কারন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার তেমন কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা আপাতত ।
source: Image by UzbekIL from Pixabay
হাইভের বেসিক বিষয়ের উপর আমার বাংলায় লেখা কিছু পোস্টঃ
নিচের কোন টপিক সম্বন্ধে জানার প্রয়োজন হলে পড়ে আসতে পারেন।
আমার অভিজ্ঞতা ও নতুনদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা
গতানুগতিক সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে হাইভের পার্থক্য
হাইভ থেকে টাকা আয় করার উপায়গুলো কি কি
হাইভে নামের পাশে যে রেপুটেশন (Reputation) দেখায় তা কি, কেন, কীভাবে হিসাব করা হয় ও গুরুত্ব বিস্তারিত
হাইভ (Hive), হাইভ পাওয়ার বা এইচপি (HP) ও এইচবিডি (HBD) নিয়ে বিস্তারিত
কীভাবে আপনার পোস্ট ফরমেট করবেন মার্কডাউন দিয়ে– পর্ব ১
কীভাবে আপনার পোস্ট ফরমেট করবেন মার্কডাউন দিয়ে– পর্ব ২
কীভাবে আপনার পোস্ট ফরমেট করবেন মার্কডাউন দিয়ে– পর্ব ৩
কীভাবে আপনার পোস্ট ফরমেট করবেন মার্কডাউন দিয়ে– পর্ব ৪ ও শেষ পর্ব
হাইভে ডাস্ট কি ও কীভাবে তা সেভ করতে পারবেন
আমি কে
আমি বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন প্রভাষক এবং সদ্য বাবা। আমি আমার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলি আমার বন্ধুদের এবং সম্প্রদায়ের সাথে ভাগ করে নিতে ভালোবাসি। ইউটিউব, ডিটিউব, হাইভে ব্লগিং করতে ভালবাসি। আমি শেয়ার করতে চাই ওইসবকিছু যা আমি শিখেছি যাতে মানুয আমার থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারে। আমি আমার ব্লগে টেক্সটাইল, অনলাইন আয়, ও নানান রকম আকর্ষনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলে থাকি। আমি সর্বদা একজন শিক্ষানবিস হিসেবে সবার থেকে শিখতে চাই ও এই কমিঊনিটির সাথে এগিয়ে যেতে চাই।
Upvote, Resteem and Follow me on hive @engrsayful
Find me on social media
Follow me on DTube
Follow me on Youtube
Follow me on ThreeSpeak
Follow me on Facebook
Follow me on Twitter